ঢাকা: বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের পঞ্চম ব্যাচের কর্মকর্তা বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের যুগ্ম-প্রধান পদে (প্রেষণে) কর্মরত মো. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। তাঁর গবেষণা অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ‘হিস্টরিক্যাল অ্যান্ড সোশাল অ্যাস্পেক্টস অব টিউডর ইংল্যান্ড (১৪৮৫-১৬০৩) অ্যাজ রিফলেকটেড ইন কন্টেমপর্যারি ইংলিশ লিটারেচার।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধীনে অধ্যাপক মো. এনামুল হক খানের তত্ত্বাবধানে নেয়ামত তাঁর গবেষণা সম্পন্ন করেন। এর বহিঃস্থ পরীক্ষক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহ্ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্র।
কুমিল্লা বোর্ডে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মানবিক বিভাগের মেধা তালিকায় যথাক্রমে পঞ্চদশ ও সপ্তদশ স্থান অধিকারী নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তার কর্মজীবনের সূচনা হয় অধ্যাপনা দিয়ে পরে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগ দেন। তিনি মাগুরা ও মাদারীপুর জেলার জেলা প্রশাসক, আম্মাানে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দায় ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল, রাজউকের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিআরটিসি’র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।ড. মো. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া কবি, গল্পকার ও অনুবাদক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দৈনিকে তার লেখা নিয়মিত প্রকাশ পায়। প্রকাশিত গ্রন্থ ৭টি। এ ছাড়া সিগনিফাইং সাফারিং অ্যান্ড দ্য সাবলাইম ইন ইংলিশ রোমান্টিক পয়েট্রি- স্পেশালি ইন দ্য পয়েট্রি অব জন কীট্স) শিরোনামে তাঁর অপর একটি গবেষণাপত্র রয়েছে। ড. ভূঁইয়া বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ লিমেরিক সোসাইটি, লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল-এর সদস্য।
ড. মো. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া ১৯৫৮ সালে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানাধীন জোড়পুকুরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দু’সন্তান কিংশুক ও হৃৎশুক-এর জনক ড. ভূঁইয়ার স্ত্রী রাশিদা ভূঁইয়া একজন সুলেখক ও সমাজকর্মী।
(ঢাকাটাইমস/ ২ সেপ্টেম্বর/ এইচএফ/ঘ.)