logo ১৪ মে ২০২৫
নিজেদের কর্মকর্তাদের নিয়েই বেশি চিন্তিত পুলিশ!
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:৫১:২৪
image

ঢাকা : রাজধানীর অসৎ কর্মকর্তাদের দৌরাত্ম্য এতই বেড়েছে যে, পুলিশ প্রশাসন সন্ত্রাসীদের চেয়ে তাদের ব্যাপারেই বেশি চিন্তিত। এ বিষয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের যুক্তি হলো, সন্ত্রাসীদের তালিকা আছে আমাদের কাছে। তারা কে কী করতে পারে তা আঁচ করা যায়; কিন্তু অসতৎ কর্মকর্তারা পুলিশের পোশাকের আড়ালে কী কী করে বেড়াচ্ছেন তা জানাতো দূরের কথা, আন্দাজই করা যায় না।


জানা গেছে, রাজধানীর ৬টি ‘বিশেষ’ থানার ওসির ঘুষ বাণিজ্যের কারণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনাররা (ডিসি) ছিলেন রীতিমত জিম্মি। ডিসিদের নির্দেশ মানত না ওসিরা। ওসিদের খুঁটির জোরে তারা নিজ নিজ থানায় বহাল আছেন, মাঝখান থেকে বদলি হয়ে যায় কয়েকজন ডিসি। অনিয়মের অভিযোগে ওই ৬ থানার একজন ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীদের সঙ্গে তার সখ্যতার প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।


জানা গেছে, কয়েকজন ওসি রাজধানীতে ৫ বছর পর্যন্ত রয়েছে। অনিয়মের অভিযোগে তাদের বদলির চেষ্টা করা হলে উল্টো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাই বদলি হয়ে যান। রাজধানীতে অসৎ, অযোগ্য ও ঘুষখোর ওসি-এসআইদের সংখ্যা অনেক বলে এক শীর্ষ কর্মকর্তা স্বীকার করেন। ঢাকার বাইরের অধিকাংশ থানার চিত্রও একই।


দুটি জেলার পুলিশ সুপার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সন্ত্রাসীদের চেয়ে এখন বেশি নজরদারি রাখতে হয় ঘুষখোর, অসৎ ও অযোগ্য ওসি-এসআইদের প্রতি। তবে সৎ-নিষ্ঠাবান ও সুশিক্ষিত ওসি-এসআইও রয়েছে। তারা শুধু নীরবে কাজই করে যাচ্ছেন। তাদের মূল্যায়ন হয় না।


ওই দুই পুলিশ সুপার আরো বলেন, ঘুষখোর, অসৎ ও অযোগ্যরা দারুণ টেকনিক জানে। তারা সরকার দলীয় নেতাদের কাছে গিয়ে দাবি করেন তারাও একই মতাদর্শের। বিষয়টির প্রমাণ দিতে এর পক্ষে নানা কাজও করে দেখান। এভাবেই তারা রাজনৈতিক নেতাদের আস্থাভাজন হয়ে যান। এভাবেই তারা যেখানে ঘুষ বাণিজ্য বেশি সেখানেই বছরের পর বছর বহাল থেকে কামিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। টাকার ভাগ যায় ওই নেতার কাছেও।


তারা জানান, আসলে এরা কোন দলের লোক নয়। তারা জানে কিভাবে টাকা কামাতে হয়। তাই যেই সরকারই আসুক তারা সেই সরকারের অংশ হয়ে যায়।


অবশ্য বাহিনীতে সৎ কর্মকর্তাদের সংখ্যাও কম নয়। তারা নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বাহিনীকে জনবান্ধব করতে। এরাই বাহিনীর বিভিন্ন ফোরামে অসত্ কর্মকর্তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সোচ্চার থাকেন।


(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/এমএটি)