পাঁচ সচিবের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হচ্ছে!
হাবিবুর রহমান, ঢাকাটাইমস
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ১৯:২৩:৪৯

ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির ঘটনায় চার সচিব ও এক যুগ্ম-সচিবের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করা যাবে কি না তা জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সার-সংক্ষেপ পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সুপারিশ পাওয়ার ২০ দিনে পেরিয়ে গেলেও চার সচিব ও একজন যুগ্ম-সচিবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সার-সংক্ষেপের বিষয় সচিব কিছুই জানেন না বলে জানান।
সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী এদের বিরুদ্ধে আদৌ ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আর কিছুই বলা যাবে না।’
অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘দুদকের সুপারিশসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। যে কোনো সময় পাঠানো হবে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর সরকারি কর্মচারী বিধি অনুযায়ী, এই পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা-ভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা ছাড়াও প্রতারণার মামলা হতে পারে।
জালিয়াতি করে সনদ নেয়া পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের সুপারিশ গত ৯ সেপ্টেম্বর হাতে পায় জনপ্রশাসন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
দুদকের সুপারিশ অনুযায়ী গত ১৪ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য সচিব নিয়াজ উদ্দিন মিয়া, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব এ কে এম আমির, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী (বর্তমানে ওএসডি) এবং একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (ওএসডি) আবুল কাসেম তালুকদারের মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিল করে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিল। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানের (বর্তমানে প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় বেসরকারিকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান) সনদ স্থগিত করে। গত ২২ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
(ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্বর/এইচআর/এমএম)