বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাইবার নিরাপত্তার জন্য হাজার হাজার লোক কাজ করছে। সাইবার নিরাপত্তার জন্য দেশে এখনো কোনো ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। যে কারণে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন সময় ইন্টারনেটের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো ম্যাসেজিং অ্যাপ্লিকেশন্স বন্ধ রাখতে হয়েছে। এর আগেও ইউটিউব বন্ধ ছিল। বলছিলেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। গত ২১ জানুয়ারি দেশের তথ্য-প্রযুক্তির নানা দিক নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। কীভাবে এ খাতে দক্ষ-জনবল গড়ে তোলা যায় সে সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞ এই প্রকৌশলী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাবিবুল্লাহ ফাহাদ
নিরাপত্তার কারণে ইন্টারনেটের ফ্রি কল ও ম্যাসেজিং অ্যাপ্লিকেশন্স বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কীভাবে দেখছেন?
মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা হয় বলে সন্ত্রাসী বা অপরাধীরা ইন্টারনেটে ম্যাসেজিং অ্যাপ্লিকেশন্স ব্যবহার করে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। তারা যদি আসলেই সহিংসতা সৃষ্টির জন্য এসব করে তাহলে সরকারের সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে করি। কারণ মানুষের জীবন বাঁচানো তো সরকারের দায়িত্ব। সেই হিসেবে সরকার সাময়িকভাবে তা বন্ধ করতে পারে।
কিন্তু এতেও কি এসব অ্যাপ্লিকেশন্সের ব্যবহার বন্ধ করা যাবে?
তা হয়ত পুরোপুরি নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কারণ যারা প্রযুক্তিতে ভালো তারা বিকল্প পথ ঠিকই বের করে ফেলবে। চীন ফেসবুকসহ বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট বন্ধ করেছিল। কিন্তু কাজ হয়নি। বিকল্প পথে এটা ব্যবহার হয়েছে।
সাধারণ মানুষ তো এগুলো করতে পারবে না...
সবাই তো আসলে এটা পারে না। যারা প্রযুক্তিতে ভালো তাদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ আস্তে আস্তে শিখে ফেলে। দেশে কিছুদিন ইউটিউব বন্ধ ছিল। কিন্তু মানুষ ঠিক বিকল্প পথে ঢুকেছে।
ভাইবার-ট্যাঙ্গো বা হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করাতে কাদের বেশি সমস্যা হচ্ছে বলে মনে করেন?
প্রযুক্তিনির্ভর তরুণ সমাজের একটি বড় অংশ এতে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। পাশাপাশি অসুবিধা যা হচ্ছে, প্রবাসী বাংলাদেশি যারা আছেন তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ছিল এটি। এখন এটার বিকল্প টেলিফোন করতে হবে। এজন্য টাকা খরচ বেশি হবে।
তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপত্তার বিষয়টি কতটুকু শক্তিশালী বলে মনে করেন?
তথ্যপ্রযুক্তিতে আমরা তো এখনো নবীন। সরকার তথ্য প্রযুক্তি নিরাপত্তার বিষয়টিকে কীভাবে পরিচালনা করবে সেটা বোঝার হয়ত ঘাটতি রয়েছে। এক্ষেত্রে যথাযথ জনবল লাগবে। তাদের প্রযুক্তিগত উন্নতমানের দক্ষতা থাকতে হবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে কী হচ্ছে?
বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাইবার নিরাপত্তার জন্য হাজার হাজার লোক কাজ করছে। আমাদের দেশে ওই অবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি।
কিন্তু ইন্টারনেটে নজরদারি বাড়ানোকে বিশ্বের অন্যান্য দেশ কীভাবে নিচ্ছে?
জনগণের নিরাপত্তার নাম করে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কতটুকু দমিয়ে রাখা যাবে তা নিয়ে তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও বিতর্ক হচ্ছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই বিতর্ক চলছে।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও তো সাইবার হামলা হয়েছে...
গত কয়েক বছরে আমেরিকায় উইকিলিকস বিভিন্ন ধরনের তথ্য হ্যাক করে ফাঁস করে দিয়েছে। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাজ্যের একটি দূতবাসে লুকিয়ে আছেন। তিনি ওখান থেকে বেরুলে গ্রেপ্তার করে সুইডেনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতেই আসবে। সেখানে তার বিচার হবে। একই অবস্থা ¯েœাডেনেরও।
তাহলে সাইবার হামলা ঠেকানোর উপায় কি?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশও ঠেকাতে পারছে না। নিরাপত্তা হচ্ছে ক্যাট অ্যান্ড মাউস গেম। সরকার নিরাপত্তা দেয়াল উঁচু করবে, হ্যাকাররা বা সাইবার হামলাকারীরা তত ঢোকার চেষ্টা করবে। এটা শেষ হওয়ার নয়।
উন্নত দেশগুলোতেও তো হ্যাকারের সংখ্যা কম নয়...
উন্নত বিশ্বে শুনেছি যারা বড় হ্যাকার তাদের ধরে চাকরি দিয়ে দেয় নিরাপত্তা সেক্টরে। তাদের বলা হয়, তোমরা যেহেতু অভিজ্ঞ তাহলে এখন নিরাপত্তার কাজ কর। বাংলাদেশে এখনো ওই ধরনের কোনো জনবল গড়ে ওঠেনি। তবে বেসরকারি ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ ‘ইনফরমেশন সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি’ বিষয়ক একটি নতুন সেন্টার খুলেছে।
একটা মাধ্যম বন্ধ করলে এ রকম আরও মাধ্যম আছে...
এভাবে যদি দেখি যোগাযোগের জন্য অনেক রাস্তা ছিল। এখন কমিয়ে নিয়ে আসছে। কতটুকু সফল হয়েছে বলতে পারব না।
সাইবার অপরাধ দমনে তো বাংলাদেশে এখনো কোনো আইন হয়নি। প্রচলিত আইনে অপরাধীদের কতটুকু শাস্তির মুখোমুখি করা যাবে?
বিচার করার জন্য কিছু আইন হয়েছে। আইসিটি আইন এর একটি। নতুন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেছেন, একটা হচ্ছে আইন। কিন্তু এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে সাক্ষী বা প্রামাণ্য দলিলপত্র আইন। আদালত কোন কোন সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ করবে সেটা। বর্তমানে যে অ্যাভিডেন্স অ্যাক্ট আছে তাতে অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া কঠিন। কারণ আদালতের কাছে ইলেকট্রনিক দলিল এখনো সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। পৃথিবীর অনেক দেশে ইলেকট্রনিক অ্যাভিডেন্স গ্রহণযোগ্য।
আইসিটি আইনের কারণে মানুষকে হয়রানির অভিযোগ আনা হচ্ছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
আইসিটি আইনের কারণে বুয়েটের একজন শিক্ষককে শাস্তি পেতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নামের কাছাকাছি কারো নামে আপত্তিকর কিছু বলা হয়েছিল বলে শুনেছি। যদিও তিনি সাজা ঘোষণার আগেই অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছেন। আসলে আমি মনে করি সমালোচনা সহ্য করার মতো মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। সমালোচনা সহ্য করার মতো শক্তি থাকতে হবে।
উন্নত বিশ্বেও তো সরকারের নানা ধরনের সমালোচনা করা হয়। সেখানে কী হয়?
আমি তো ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেছি। যেই দেশকে গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে মনে করা হয়। ডেভিড ফ্রস্ট নামে যে সাংবাদিক মারা গেলেন ১৯৬০ সালের দিকে। তারও বয়স কম ছিল। তখন বিবিসিতে ব্যাঙ্গাত্মক একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হতো। আমি সেখানে যাওয়ার পরপরই হ্যারল্ড উইলসন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলেন। তখন ওই অনুষ্ঠানে একজন বলল, ‘কখন আপনি বুঝবেন প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বলছেন?’ জবাবে বলা হয়, ‘যখন দেখা যাবে তার ঠোঁট দুটি নড়ছে।’ অর্থাৎ পরোক্ষভাবে কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যুক বলা হলো। আমার মনে হয় আমাদের বর্তমান আইনে এটা অপরাধ হয়ে যাবে। কিন্তু তখন ইংল্যান্ডে এটার কোনো প্রতিক্রিয়াই হয়নি। এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও তো নেওয়া হয়নি। পরে তো ডেভিড ফ্রস্ট সেরা টেলিভিশন সাংবাদিকদের পুরস্কারও পেলেন।
তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে আমরা কি কোনো দেশের মডেল অনুসরণ করছি?
কোনো দেশের মডেল সরাসরি অনুসরণ করলে সফল হওয়া যাবে না। কারণ অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপার আছে। একেক দেশে একেক রকম। কয়েকটি বিষয় অবশ্য অনুসরণ করা যায়। একটা হচ্ছে শিক্ষিত ও দক্ষ জনবল। মানব সম্পদ না থাকলে তো কিছু করা সম্ভব নয়।
তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের বর্তমান অবস্থাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
কম্পিউটার বিজ্ঞান বা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে পড়াশোনা করল। কিন্তু তাদের কর্মসংস্থানও পাশাপাশি থাকতে হবে। আমরা সেই ব্যবস্থা করতে পারিনি।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে তরুণদের জন্য আয়ের অনেক সুযোগ তো সৃষ্টি হয়েছে?
অনেকে ছোট ছোট আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করছে। ঢাকার বাইরেও অনেকে এটা করছে। কিন্তু এর মাধ্যমে আমাদের যে লক্ষ্য অর্থনীতিতে তথ্যপ্রযুক্তির বড় ধরনের অবদান, সেটা অর্জন করা সম্ভব হবে না।
সীমাবদ্ধতা কোথায়?
বিদেশ থেকে অনেকে আসেন বাংলাদেশের প্রযুক্তি সেক্টরের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নিতে। চিন্তা করেন এখানে কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়া যায় কি না। এসব প্রকল্পের জন্য প্রযুক্তি বিষয়ে শুধু কাজ জানা লোক হলে হবে না, বরং ব্যবস্থাপনাতেও দক্ষ লোক লাগবে। যারা এই কাজটি পরিচালনা করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে এবং সময় মতো সরবরাহ করতে পারবে। ব্যবস্থাপনায় দক্ষ লোকের অভাবে আছে দেশে।
দক্ষ লোকের অভাব হওয়ার কারণ কী?
আমাদের দেশের বাজার সেভাবে গড়ে ওঠেনি। কোনো বিশেষায়িত বিষয়ে কাজ করার মতো প্রতিষ্ঠান কম। বাইরের দেশ থেকে লোকজন এসে বলছে, ‘আমরা যেই প্রতিষ্ঠানেই যাই তারাই বলে সব ধরনের কাজ তারা করে দিতে পারবেন। এটা কী করে সম্ভব? একটা ছোট অফিসে তাদের এত দক্ষ লোকবল থাকবে কীভাবে?’ এটা তাদের বিশ্বাস হচ্ছে না।
কেন বিশেষায়িত সেক্টরে কাজের প্রতিষ্ঠান পাওয়া যাচ্ছে না?
ভারতে কিন্তু বিশেষায়িত হয়েছে। ভারতের অনেক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আছে। যে কারণে ভারতের নাম শুনলেই মনে করে প্রযুক্তিতে তারা খুব ভালো। দেশে তো আসলে এ ধরনের ফোকাস নেই। কোন আলাদা ফিল্ডে আমরা বেশি মনোযোগী হব সে ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনারও অভাব আছে। আইটি তো অনেক বড় স্পেকট্রাম।
তথ্যপ্রযুক্তিতে আমাদের তো অনেক ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা আছে?
আমাদের কিছু কিছু ভুল সিদ্ধান্ত আছে। একবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো বাংলাদেশ সিলিকন ভ্যালিতে অফিস খুলবে। সেটা খোলাও হলো। বাংলাদেশিদের ওখানে কাজ করার জন্য দায়িত্বও দেওয়া হলো। পরে দেখা গেল সিলিকন ভ্যালি যে ধরনের কাজ দেয় সেই ধরনের কাজ করার মতো আমাদের সক্ষমতা নেই।
যারা কাজ দিচ্ছেন তাদের কাছে আমরা কতটুকু পৌঁছতে পারছি?
সিলিকন ভ্যালি থেকে একটা বিষয় জানা গেল, কাজ পাওয়ার জন্য যাদের বোঝাতে হবে তারা হলেন কোনো কোম্পানির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা বা সিআইও। এদের অনেকেই সিলিকন ভ্যালিতে নয়, অন্য জায়গায়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের অভাব ছিল।
রাষ্ট্রের এ ক্ষেত্রে কী ধরনের উদ্যোগ দরকার?
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হোক আর প্রাদেশিক মন্ত্রী তারা কিন্তু বিভিন্ন দেশে গিয়ে তদবির করে। তারা নিজেদের নানা বিষয় তুলে ধরে। বাংলাদেশে এখনো এটা করা হয় না। এ ধরনের উদ্যোগ খুব একটা নেই।
দেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি নিয়েও তো প্রশ্ন তোলেন অনেকে?
বড় একটি বিপত্তি হলো বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সংকট আছে। মাঝেমধ্যে ভালো হয়। আবার একটা ঘটনার পর দেখা যায় পরিস্থিতি পাল্টে যায়। এটা রাজনৈতিক কারণে। আসলে আমাদের ওইভাবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসেনি। যদি বলা হয়, এয়ারপোর্ট থেকে আসতে হলে অ্যাম্বুলেন্সে আসতে হবে। তাহলে তো বিদেশিরা বাংলাদেশে আসতে চাইবে না। তারা বিশ্বের অন্য কোথাও যাবে।
মানবসম্পদের ঘাটতি পূরণ করতে গেলে আমরা কী করতে পারি?
ভারতের বড় বড় প্রতিষ্ঠান কর্মীদের নিয়োগের পর অনেকদিন প্রশিক্ষণ দেয়। ভারতের টাটা কোম্পানি ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট সংগ্রহ করে ৯ মাস তাদের নিজস্ব কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে তাদের কাজে লাগায়। বাংলাদেশে তো এ রকম কোনো প্রতিষ্ঠান করার ক্ষমতা কারো নেই।
এ ধরনের কোনো উদ্যোগ কি নেওয়া হয়েছিল?
একটা গ্র্যাজুয়েটকে উৎপাদনশীল করে তোলার দায়িত্ব কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। আমরা একটা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ২০০৭-০৮ সালে কম্পিউটার কাউন্সিলে একটা ইনস্টিটিউট খোলার সিদ্ধান্ত হয়। উদ্দেশ্য ছিল ফিনিশিং স্কুল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এটা হয়নি। কি কারণে হয়নি এটা আমি বলতে পারব না।
কী জন্য এ ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার?
যারা সরাসরি কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের দিয়ে গ্র্যাজুয়েটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। তাহলে তারা কর্মজীবনে গিয়ে ভালো করবে। এ ধরনের একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত।-
সাপ্তাহিক এই সময়-এর সৌজন্যে।