ছিলেন ছাত্রদলের সভাপতি, পরে হাল ধরেছেন সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের। ছাত্রজীবন থেকেই সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন পদে পদে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ঢাকা মহানগর বিএনপিকে ঢেলে সাজাতে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যে কয়জনের ওপর ভরসা রেখেছেন তাদের একজন তিনি। নাম তার হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন দলের দুঃসময় কাটিয়ে ওঠার। এই চেষ্টার আদ্যোপান্ত জানতে তার মুখোমুখি হয়েছিলেন হাবিবুল্লাহ ফাহাদ।
ঢাকা মহানগরে বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে সাড়ে চার মাস হতে চললো। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা যায়নি, কেন?
মহানগর বিএনপিকে গোছানোর প্রক্রিয়া চলছে এবং চলবে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আমরা বসে নেই। তবে একটু সময় লাগছে।
আরও কতদিন সময় লাগতে পারে?
কতদিন সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কাজ চলছে, আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। যেটুকু বাকি আছে তা অতি দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। আমরা এখন ওয়ার্ড-ইউনিয়নগুলোতে কাজ করছি।
কিছু কিছু ওয়ার্ডে এখনই কমিটি না দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে...
কোনো ওয়ার্ডে এখন হাত দিব না এমন কোনো কথা নেই। তবে কিছু জায়গা আছে পরে কাজ করব।
মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার এলাকায় কমিটি দিচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
খোকা ভাইয়ের এলাকায় কমিটি করতে গেলে তিনি জরুরি। তাকে সেখানে লাগবে। তিনি সেখান থেকে নির্বাচন করেছেন। সেখানকার সবকিছু তার জানা।
নতুন আহ্বায়ক কমিটি করার পর থেকেই দেশের বাইরে সাদেক হোসেন খোকা। এর কারণ কী?
তিনি তো অসুস্থ। চিকিৎসাধীন আছেন। খোকা সাহেব ইচ্ছে করে ফিরছেন না এটা মিথ্যা কথা। চিকিৎসা শেষ হলেই তিনি ফিরবেন।
উপদেষ্টা হিসেবে নতুন কমিটিকে তিনি কতটুকু সহযোগিতা করেছেন?
কমিটি করার পর তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আহ্বায়কের (মির্জা আব্বাস) সঙ্গে কথা হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে আমাদের কাজের কোনো ব্যাঘাত ঘটবে, এটা ঠিক নয়। তিনি আমাদের সহযোগিতা করতে চান।
মহানগর বিএনপিকে ঢেলে সাজাতে মাসের পর মাস চলে যাচ্ছে। এতে কি আন্দোলনের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না?
এর সঙ্গে আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। আন্দোলন আন্দোলনের গতিতে চলবে। দুঃশাসনের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য মানুষ যেমন লড়ে যাচ্ছে, বিএনপি নেতা-কর্মীরাও একইভাবে লড়ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ঢাকা মহানগরীর কাছে কী চান?
তিনি চান যে করেই হোক ঢাকা মহানগরীতে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করে আন্দোলন চাঙ্গা করতে। এর মাধ্যমে দেশকে দুঃশাসনের হাত থেকে বাঁচাতে হবে।
কাক্সিক্ষত আন্দোলন গড়ে তুলতে ঢাকা মহানগর কতটুকু সক্ষম?
আহ্বায়ক কমিটি হওয়ার পর থেকেই মনেপ্রাণে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমার বিশ্বাস এবার ঢাকা মহানগরীতে জনগণের প্রত্যাশিত আন্দোলনটা আমরা করতে পারব। যে আন্দোলনের ফলে সরকার জনগণের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবে।
মহানগর বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে কেন?
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কীভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের বুকের দিকে অস্ত্র তাক করে রেখেছিল তা দেশবাসী দেখেছে। তারা সরাসরি গুলি করেছে। আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে দেয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে নির্বাচনের কথা তো প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামই অকপটে স্বীকার করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এইচ টি ইমামকে বিএনপির লোক বলেছেন। তার গায়ে হাত দিলে খবর আছেÑএমন কথাও বলেছেন...
এইচ টি ইমাম সম্পর্কে তিনি যা বলেছেন তার একটি অংশ দেখলে হবে না। পুরো বক্তৃতাটাই শুনতে হবে। আর তিনি তার মতো করে বলেছেন। এটা দলের কোনো বক্তব্য নয়।
এইচ টি ইমামের বক্তব্য বিএনপি কীভাবে নিচ্ছে?
বিএনপি এতদিন দলীয় ও একতরফা নির্বাচনের যে দাবি করে আসছিল তাই সত্য বলে প্রমাণ হয়েছে। আওয়ামী লীগের হয়ে তিনি স্বীকারোক্তি দিলেন। এটা বিএনপির আন্দোলনে পালে হাওয়া লাগার মতো। তবে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে নতুন কোনো যুক্তি প্রমাণের দরকার নেই। দেশের মানুষই জানে সেটি ছিল ভুয়া ও সাজানো নির্বাচন।
এইচ টি ইমামের বক্তব্যের পর বিএনপির আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে মনে করেন?
আন্দোলন তো চলছে। তার কথার ওপর নির্ভর করেই যে নতুন করে আন্দোলন করতে হবে তা নয়।
আপনারা বলছেন আন্দোলন চলছে। কিন্তু কোনো কর্মসূচি তো নেই?
রাজপথের কঠোর কর্মসূচি দিলেই শুধু আন্দোলন হয় এটা ঠিক নয়। মানববন্ধন, জনসভা-সেমিনার, প্রতিবাদ সভা এগুলোও আন্দোলনের অংশ। বিএনপি নেত্রী যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই আন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুতির কথা বলছেন। বলতে পারেন চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক এখনও আসেনি।
চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক কখন আসবে?
আন্দোলন প্রতিদিন করার বিষয় নয়। ঠিক সময়ে ঠিক কাজটা করাই আন্দোলন। যখন সময় হবে তখনই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জোটের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসন ও জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি দেবেন। এ নিয়ে আগাম কিছু বলা যাবে না।
বিএনপি নেত্রী তো ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের ডাক আসবে বলেছিলেন?
ঈদের পর আন্দোলন হবে এমন কথা আমরা বলিনি। আমরা বলেছি ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করব।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে তো আপনারা আন্দোলনের বেশকিছু কর্মসূচি দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন তো ঠেকানো যায়নি।
আন্দোলন ছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যাতে জনগণ অংশ না নেয়। জনগণ ওই নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে যায়নি। রাজধানীতে আওয়ামী লীগ নেতাদের এলাকায় ভোট কেন্দ্র শূন্য ছিল। জনগণ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তারপরও কীভাবে বলেন আন্দোলন সফল হয়নি? আন্দোলন তো শতভাগ সফল হয়েছে।
সরকার পতনের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেটা কি হয়েছে?
সরকার পতনে এখনও আমরা সফল হতে পারিনি, সামনে হবো। সরকার থেকে জনগণ অনেক আগেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অস্ত্রের জোর খাটিয়ে অবৈধভাবে সরকার এখনও ক্ষমতায় টিকে আছে। আমরা চাই সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আবার নির্বাচন দিক।
১৯৯৬ সালে তো আপনারাও একতরফা নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। দুই সপ্তাহও টিকে থাকতে পারেননি।
আমরা আসলে নিজেরাই জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম যে, কিছুদিন পর সুষ্ঠু নির্বাচন দেব। আমরা কথা রেখেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তারা বিভিন্ন পরাশক্তি ও বিদেশি প্রভুদের সহায়তায় অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়।
এই সরকার কি অন্তর্বর্তী নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল?
তারা বলেছিল সাংবিধানিক নিয়ম রক্ষার নির্বাচন তারা করছে। সবার ঐকমত্যে আবার নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু তারা ভাবছে জবরদস্তি করে যতদিন ক্ষমতায় থাকা যায়, তাই ভালো। লুটপাট যা করার করে নিচ্ছে।
বিভিন্ন সময় জাতীয় ঐক্যের আভাস দিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। বিষয়টি কী?
জাতীয় ঐক্য অবশ্যই দরকার। কোনো রাজনৈতিক দলই চায় না কোনো অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকুক। এ ব্যাপারে যদিও সব দল নিয়ে এক প্লাটফর্মে ঐক্য হয়নি। কিন্তু সব দলই এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। এক প্লাটফর্মে হোক আর ভিন্ন প্লাটফর্মে হোক যে যার জায়গা থেকে যদি রুখে দাঁড়ায় তাহলে সরকার দাবি মানতে বাধ্য হবে।
একের পর এক জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা মানবতাবিরোধী অপরাধে দ-িত হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি বরাবরই চুপ। এ নিয়ে দলটির সঙ্গে আপনাদের সম্পর্কের দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে...
জামায়াতের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আগে যেভাবে ছিল সেভাবেই আছে, কোনো হেরফের হয়নি। জামায়াত নেতারা আগের মতো আন্তরিকভাবে আন্দোলনে আছেন। কিছুদিন আগে একটা বৈঠকে আমি ছিলাম। ওখানে জামায়াতের নেতারাও ছিলেন। জামায়াতের সঙ্গে আমাদের কোনো দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি।
আগে বিএনপির হরতালে জামায়াত-শিবিরকে মাঠে দেখা যেত। বিগত কয়েকটি হরতালে এটা দেখা যায়নি, কেন?
কে বলেছে তারা আন্দোলনে ছিল না। তারা সব সময়ই আমাদের পাশে আছে। জোটগত আন্দোলনে তাদের সমর্থন ও অংশগ্রহণে ভাটা পড়েনি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তো বিএনপি কখনই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি, এটা কি কোনো রাজনৈতিক কৌশল?
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদি হয় সেটি স্বচ্ছতার মাধ্যমে হোক এটা আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় নিয়ে আমরা কথা বলার প্রয়োজন বোধ করি না। বিচারের স্বচ্ছতাই যেখানে প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে এ নিয়ে মন্তব্য করার কি আছে?
বিএনপি নেত্রীর মামলাগুলো চূড়ান্তের দিকে এগোচ্ছে। দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোও চাঙ্গা হচ্ছে...
নেত্রীর নামে মামলা দিয়ে বা নেতাদের নামে মামলা দিয়ে দলকে কখনো দুর্বল করা যাবে না। বরং তাদের ক্ষোভ আরো বাড়িয়ে দেবে। সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে এটা সম্পূর্ণ ভুল। ভুল রাজনীতি। আমরা আশা করব সরকার এ রাজনীতি থেকে সরে আসবে। আর যদি সরে না আসে তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় অবৈধ সরকারকেই নিতে হবে।
চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচিতে কি হরতাল-অবরোধ থাকবে?
থাকতে পারে। এটা তো আগে থেকে কিছু বলা যাবে না। দাবি আদায়ে যে ধরনের আন্দোলন-কর্মসূচি দরকার হয় তাই দেওয়া হবে।
আপনারা বলছেন জনগণের জন্য আন্দোলন। কিন্তু হরতাল-অবরোধে তো জনগণেরই ক্ষতি বেশি হয়...
আসলে হরতাল-অবরোধের বিকল্প কিছু নেই। হরতাল আন্দোলনের ভাষা। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে হয়ত এ ধরনের কর্মসূচি কম দেওয়ার চিন্তা করবে বিএনপি। তবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে যদি হরতাল দরকার হয়ে পড়ে তখন আমরা দিতে কার্পণ্য করব না।
সরকারদলীয় অনেক নেতা বলছেন বিএনপিকে দেশ ছাড়া করা হবে। এটাকে কীভাবে নিচ্ছেন?
এরশাদ সাহেব ক্ষমতা ছাড়ার আগের দিনও তার মন্ত্রীরা এ ধরনের কথা বলেছেন। কিন্তু যখন এরশাদের পতন হয়, তখন তারাই সবার আগে পালিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের কথাবার্তাই প্রমাণ করে তারা ভীতসন্ত্রস্ত। মানে তারা পালানোর পথ খুঁজছেন। দেশ থেকে যদি কেউ পালিয়ে যায় তবে আওয়ামী লীগ নেতারাই পালিয়ে যাবেন।
রাজপথে আন্দোলনে সফল হতে না পারলেও ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, এর কারণ কী?
ছাত্রদল একটি বড় সংগঠন। এখানে নেতৃত্বের কোন্দল হওয়াটা স্বাভাবিক। অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে চান কিন্তু সবাইকে তো আর পদ দেওয়া যায় না। এ জন্য কিছুটা দুঃখ-ক্ষোভ তো থাকেই। আমরা আশা করেছিলাম যারা পদ পাননি তারা বিষয়টিকে সহজভাবে নিয়ে আগামীর জন্য প্রস্তুতি নিবেন কিন্তু তারা তা করেননি। তারপরও আমরা আশা করছি যেটুকু বিশৃঙ্খলা আছে সেটুকু কাটিয়ে উঠে নতুন কমিটি ছাত্রদলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এর পেছনে অন্য কারো ইন্ধন আছে বলে মনে করেন?
ছাত্রদলের এ কোন্দলে সরকার তার কলকাঠি নাড়ছে এটা স্পষ্টতই বোঝা যায়। তা না হলে যেখানে নয়াপল্টনে সারাক্ষণ শত শত পুলিশ থাকে সেখানে ছাত্রদলের ছেলেদের বিশৃঙ্খলার সময় তারা কোথায় যায়? অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সরকার তাদের এসব করার সুযোগ করে দিচ্ছে। তবে এসব করে বিএনপিকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
দল ক্ষমতায় নেই, তারপরও কেন ছাত্রদলের মধ্যে পদ-পদবি নিয়ে এত কোন্দল?
হয়ত তারা আন্দোলনের মাঠে নেতৃত্ব দিয়ে নিজেদের ত্যাগী মনোভাবের প্রমাণ দিতে চায়। যাতে দল ক্ষমতায় এলে ভালো প্রতিদান পায়। এটা খারাপ কোনো উদ্দেশ্য বলে মনে করি না।
(ঢাকাটাইমস/ ২৭ নভেম্বর/ এইচএফ)