logo ১৮ এপ্রিল ২০২৫
বীরাঙ্গনাদের স্বীকৃতিই শেষ দায়িত্ব নয় : হামিদা হোসেন
২৩ অক্টোবর, ২০১৪ ১৯:০২:৩৭
image


বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে সরকার। কিন্তু এটাই কি শেষ কথা? সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাবে কে? চার দশক পর এসে কেনই বা একজন নারী ঝুঁকি নিতে যাবে? এসব নানা জটিলতা নিয়ে কথা বলেছেন মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন।তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন বিলকিছ ইরানী।



 





চার দশক পর স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে বীরাঙ্গনারা। আপনাদের তো দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।

যুদ্ধের পরপরই নারী সমাজ থেকেই দাবিটি এসেছিল। যুদ্ধের সময় ধর্ষণ বা অন্যান্য আক্রমণে যারা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রাষ্ট্র তাদের পাশে দাঁড়াবেÑ এমন একটি চাওয়া ছিল। সমাজের কিছু বাস্তবতায় সরকার হয়ত আগাতে পারেনি তখন। তবে শেষ পর্যন্ত দায় মোচনের উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্র। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটি আরও আগে হওয়া উচিত ছিল।

তবে এখনো সমস্যা রয়ে গেছে। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি এখনো রক্ষণশীল। তাই শুধু স্বীকৃতি দিলেই চলবে না, মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন নানা সুযোগ-সুবিধা ও সম্মান দেওয়া হয়, বীরাঙ্গনাদের জন্যও তেমন কিছু করা উচিত।



 



কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও সম্মান দেওয়া যেতে পারে?

১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ, ২১ ফেব্রুয়ারির মতো জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের ডাকা হয়, তাদের রাষ্ট্রীয় সালাম দেওয়া হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সামনের সারিতে আসন থাকে। মৃত্যুর পর সমাহিত করা হয় রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায়। বীরাঙ্গনাদের জন্যও এ রকম ব্যবস্থা থাকা উচিত। আমি জানি না ডাকলে তাদের সবাই যাবে কি না, কিন্তু একটি সুযোগ দেওয়া উচিত।

১৯৭২ সালে সরকার বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসনে একটি ফাউন্ডেশন করেছিল। এর মাধ্যমে তারা অনেক কাজ পেয়েছিল। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পেয়েছিল। সংখ্যায় কম হলেও তারা কাজ পেয়েছিল। যদিও সব করতে হয়েছে পরিচয় গোপন করে।আসলে সমস্যাটা হচ্ছে সমাজের। একটা রক্ষণশীল সমাজের। তারা মনে করে একজন নারী ধর্ষণের শিকার হলে সে অচ্ছুত। এই সমস্যা কীভাবে দূর হবে তা জানা নেই। তবে কিছু উদ্যোগ নেওয়া দরকার।



 





বীরাঙ্গনাদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত?

মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা যেমন সম্মান দেই তেমন সম্মান বীরাঙ্গনাদের দেওয়া উচিত।

যুদ্ধে লাখো নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছেÑএ কথাটা বারবার বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোও বলেছে। এ জন্য তারা পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দালালদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। কিন্তু যে নারীরা নির্যাতিত হয়েছে তাদের কী হবে, কীভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানো যায়, কীভাবে তাদের সম্মানিত করা যায় সে উদ্যোগটি নেওয়া হয়নি। নারীদের সম্মানের কথা ভেবেই হয়ত রাষ্ট্র প্রকাশ্যে পাশে দাঁড়াতে চায়নি। কিন্তু তাতে যা হয়েছে, সেটি হলো বিরাট একটি অপরাধ চাপা পড়ে গেছে।  



 





যে সামাজিক সমস্যার কথা বলছেন তা কিছুটা কমলেও এখনো রয়ে গেছে। সেটি কীভাবে দূর হবে?

নিজের পরিবারের মধ্যেই এই রক্ষণশীল ও লজ্জার চিন্তা ছিল। যেমন আমার মেয়েকে এটা করেছে, ও কীভাবে মুখ দেখাবে? এমনকি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের অনেককেই পাঠানো হয়েছে ঢাকার বাইরে। অথবা অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিত।

বর্তমানেও তো তাই হচ্ছে। এখনো কোনো নারী ধর্ষিত হলে লজ্জার ব্যাপার বলে তা চেপে যাওয়া হয়। এই দৃষ্টিভঙ্গিকে আমরা কীভাবে চ্যালেঞ্জ করব, কীভাবে আমরা নারীদের পাশে দাঁড়াব সে প্রশ্নের সহজ কোনো সমাধান আমাদের কাছে নেই।



 





তবে নাম প্রকাশ না করেও বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে। সরকার কাউকে কাউকে ঢাকায় নিয়ে এসেছে, তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে। সরকারি ছাড়াও কয়েকটি বেসরকারি হোম করা হয়েছে। একটি করেছেন কবি সুফিয়া কামাল। কেউ টাইপিং, কেউ হাতের সেলাইর কাজ শিখেছে। এভাবেই তারা নিজের ওপর নির্ভর করতে পেরেছিল। এটাও হয়ত একটা পথ ছিল। কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেত।

বঙ্গবন্ধু তো সামাজিক সমস্যার কথা ভেবেই বীরাঙ্গনাদের তালিকা পুড়িয়েছিলেন।



 





হ্যাঁ, এই ঘটনা ঘটেছিল। মহিলা পুনর্বাসন ফাউন্ডেশনে একটি তালিকা ছিল। এছাড়া আরও কয়েকটি বেসরকারি হোমে যারা এসেছিল তাদেরও রেকর্ড ছিল। কিন্তু সেসব রেকর্ড তারাও পুড়িয়ে ফেলেছে। আমি তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন নষ্ট করা হয়েছে। তখন সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে, যারা গর্ভবতী হয়েছে বা হয়নি, তারা তাদের পরিচয় দিতে চাচ্ছে না। কারণ সমাজ কী করবে এই ভয়টা ছিল। কিন্তু আমি মনে করি, তাদের তালিকাটি রেখে দেওয়া যেত, পুড়িয়ে ফেলা উচিত হয়নি কোনোভাবেই। কারণ ধীরে ধীরে দেশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাবেÑএটাই স্বাভাবিক। এখন বীরাঙ্গনাদের অধিকারের কথা বিভিন্ন পর্যায় থেকেই বলা হচ্ছে, নানাভাবে তাদের সম্মানিত করার চেষ্টাও হচ্ছে।



যুদ্ধে নির্যাতিত নারী কতজন? আপনারা তো যুদ্ধের পরপর অনেক কাজ করেছিলেন। কেমন ছিল তখনকার পরিস্থিতি?

যুদ্ধে ঠিক কতজন নির্যাতিত হয়েছে সে হিসাবটা আমার জানা নেই।  তবে সেটি আড়াই লাখের বেশি বলে বিভিন্ন বইয়ে লেখা আছে, এই সংখ্যাটা হয়ত আরও বেশি।

এদের পাশে দাঁড়াতে আমরা কিছু একটা করার চেষ্টা করেছিলাম। তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। হানাদাররা সবার বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে। যারা পুরুষের ওপর, বাবা-ভাইয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিল তাদের মেরে ফেলেছে। মেয়েরা তখন তাদের বাচ্চাদের নিয়ে কীভাবে বাঁচবে। কারণ তাদের কোনো কাজকর্ম ছিল না।

যুদ্ধের পর পর কুষ্টিয়ায় গিয়ে তাদের দুর্দশা দেখেছি। তখন আমাদের সঙ্গে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামও ছিলেন। আমরা ভাবলাম কিছু একটা করব, তাদের আয়ের পথ দেখাব। আমরা কাপড় যোগাড় করে তাদের কাঁথা তৈরি করে দিতে বলতাম। পরে ঢাকায় এনে তা বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। তারপর নিজেদের মধ্যে তারা একটা সমবায় সমিতি করল। পরে জানলাম তারা অনেক ভালো করছে। কাঁথা সেলাই করা ছাড়াও নানা আয়বর্ধক কাজ করে দিন গুজরান করেছে তারা।



 





ঢাকায় মহিলা পুনর্বাসন কেন্দ্রে টাইপিং, সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে তখন। শেখার পর তারা কাজ শুরু করে, পণ্য তৈরি করে বিক্রি করত।

একটি হোম ছিল বাচ্চাদের জন্য। যাদের বাচ্চা ছিল সেই বাচ্চারা ওখানে থাকত। যারা একটু পড়াশোনা জানত, তারা টাইপিং শিখে এক-দুই বছর পর চাকরি পেয়েছে।  নির্যাতিত নারীদের মধ্যে মুখ খুলেছেন অল্প কয়েকজন। বাকিরা তো প্রকাশ করেননি।



 



এখন সরকার যদি নাম প্রকাশ করে তাহলে তারা কোনো ঝামেলায় পড়বে না  তো?

ঝামেলায় পড়তেও পারে। কারণ গণআদালতে সাক্ষ্য দিতে কুষ্টিয়া থেকে আসা মেয়েরা এলাকায় গিয়ে ঝামেলায় পড়েছিল।

যদি এটা বলা হয় নারীরাও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। কীভাবে অংশগ্রহণ করেছে সেটি যদি আলাদাভাবে উল্লেখ না করা হয় তাহলে তখন সবাই এককাতারেই থাকবে।

তাদের এখন আর বীরাঙ্গনা নয়, মুক্তিযোদ্ধা বলা হচ্ছে। শুধু অস্ত্র ধরলেই মুক্তিযোদ্ধা হবে তা নয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের বই ‘নারী ৭১’-এ ১৯ জনের কথা বলা আছে। সেখানে একজন মেয়ে বলেছে, কীভাবে মানচিত্র তৈরি করত, ওটা নিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে আসত। সেও তো একজন মুক্তিযোদ্ধা। অন্যরা নিজেদের বাড়িতে লোকদের লুকিয়ে রেখেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের রান্নাবান্না করেছে, কিছু জিনিসপত্রও লুকিয়ে রেখেছে, সেটিও মুক্তিযুদ্ধের অংশ।



 





কেবল মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতির মাধ্যমে কী দেশ বীরাঙ্গনাদের সঠিক সম্মান দিতে পারবে?

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেবল মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিলেই হবে না। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যে সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, তেমন সুবিধা দেওয়া দরকার। সাধারণত নারীরা এ বিষয়ে কথা বলতে চায় না। তাই রাষ্ট্রকেই এগিয়ে আসতে হবে। এই সমস্যা কেবল বাংলাদেশে নয়, যুগোস্লাভিয়া যুদ্ধেও ধর্ষিত নারীরা কথা বলতে চায়নি।

আর সবচেয়ে বড় যে ব্যাপার তা হলো তাদের মধ্যে এমন একটি বোধ তৈরি করতে হবে যে, যুদ্ধক্ষেত্রে ছিল তারা।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী যখন প্রথম নিজের কথা বলল, আমরা প্রথম তার কাহিনি বের করি। তার ইন্টারভিউ আইন ও সালিশি বইয়ে আছে। বইয়ের ওই কাহিনি নিয়ে সেমিনার করি। ফেরদৌসী প্রথম থেকেই নিজের নাম দিয়েছে। অন্য দুইজন ছিল, যারা শিক্ষিত হওয়ায় সরকারি চাকরি পেয়েছিল, তারা বলল নিজেদের নাম দেবে না।

ফেরদৌসী যখন নিজের কথা বলতে শুরু করে, আমরাও কথা বলতে শুরু করি। তখন ওই দুইজন মেয়েও এসে বলল যে, তারাও কথা বলবে। এভাবেই সাহস পায় মানুষ।

তবে এখানেও সমস্যা রয়ে গেছে। গণআদালতে কুষ্টিয়া থেকে মেয়েরা এসেছিল। কিন্তু সরকার তাদের কথা বলতে দেয়নি। যখন তাদের কথা পত্রিকায় এলো এবং তারা নিজ গ্রামে যায় তখন তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী নানা কথা বলতে লাগল।



 





আশাজাগানিয়া কিছু উদাহরণও তো আছে।

হ্যাঁ, এই বিষয়টিই সাহস জুগিয়েছে আমাদের। অনেকে সাহস দেখিয়েছে। একজন মধ্যবিত্ত শ্রেণির, ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকত। তার চোখের সামনে তার স্বামীকে মেরে ফেলেছে। ছোট ছোট চারটি বাচ্চা ছিল তার। ভয় ছিল কীভাবে থাকবে ওদের নিয়ে। ওখান থেকে গ্রামে গিয়েছিল। কিছুদিন ভাইয়ের ওখানে ছিল। সে নিজে খুব সাহসী ছিল। তাই চিন্তা করত কীভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। কীভাবে বাচ্চাগুলোকে মানুষ করবে। তার ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে। এখন তারা ভালো করছে।

যুদ্ধের পর পরই একটি হোম গড়ে তুলেছিলেন সুফিয়া কামাল। আমি কিছুদিন ওদের সাথে কাজ করেছিলাম। আমার মনে আছে আমার পরিচিত একজন নারী লন্ডন থেকে এসেছে। একটি বাচ্চা দত্তক নিতে চায়। তাকে আমি নিয়ে গেলাম সেখানে। সেখানে ঢাকার এক মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তার স্বামী রিকশাচালক ছিল। তাকে মেরে ফেলেছে। হোমে তাকে আনা হয়। আনার পর তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। বারবার আত্মহত্যা করতে চাচ্ছিল। বাচ্চা হওয়ার পর সে রাজি হয় বাচ্চাকে দিয়ে দিতে। কিন্তু যখন লন্ডনের ওই মহিলা বাচ্চা নিতে আসে তখন আমি দেখলাম ওই বাচ্চার মা বাচ্চাটিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে, আবার ফেরত নিচ্ছে, আবার কান্নাকাটি করছে। একদিকে মায়া ছিল আরেকদিকে ছিল কলঙ্ক নিয়ে কীভাবে সমাজে বাস করবে?



 





একাত্তরের যুদ্ধশিশুদের সংখ্যা কেমন ছিল? তাদের কী পরিণতি হয়েছিল?

কতজন ছিল তা আমি বলতে পারছি না। আমি সেসময় তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা আমাকে বলেছিল কোনো রেকর্ড রাখা হয়নি। তাদের সম্পর্কে একটু আগেই বলেছি। সেসময় সমাজ তাদের স্বীকৃতি দিতে চায়নি। বাচ্চাদের মায়েরা রাখলে তাদের বদনাম হবে।

তবে তখন কানাডায় একসঙ্গে ১০টি বাচ্চা পাঠানো হয়েছে।  দেশে তাদের দত্তক দিতে ধর্মীয় নানা সমস্যাও ছিল। হিন্দুদের নিজেদের বর্ণ থেকে পালক নিতে হয়। তখন তাই বিদেশ থেকেই অনেকে এসেছিল বাচ্চা নিতে।

তারা এতদিনে বড় হয়েছে। একটি ছেলে দেশে কয়েকবারই এসেছে নিজের মায়ের খোঁজ নিতে। কিন্তু যেহেতু কোনো রেকর্ড ছিল না, তাই আমরা কোনো খোঁজ পাইনি তার মায়ের।

আমরা যতই বলছি বাংলাদেশের মানুষ নীতিবান হবে কিন্তু সমাজ তো পরিবর্তন হয় না।



 





পাকিস্তানি সৈন্যদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সবার পরিবার কী স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেছিল?

কেউ কেউ নিয়েছে, আবার কেউ কেউ নেয়নি। সমাজ নারীদের অন্য চোখে দেখে। ধর্ষিত নারীদের যাদের পরিবার গ্রহণ করেনি তাদের অনেকেই আত্মহত্যা করেছে। সমাজের সেই দৃষ্টিভঙ্গি এখনো বদলায়নি। তা বদলাতে হবে। -এই সময়ের সৌজন্যে