রমজানকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি
ইসলাম ডেস্ক
২৭ মে, ২০১৫ ০০:১৮:০৪

ঢাকা: রাসুল (সা.) রজবের চাঁদ দেখেই দোয়া পড়তেন, ‘হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করে দাও এবং রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দাও।’ রজব ও শাবান মাসজুড়ে তিনি এ দোয়া করতেন। রমজানকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন এ দু’মাসে। শাবান মাস এসে গেলে রাসুল (সা.)-এর আমলে বিশেষ পরিবর্তন আসত। রমজান যতই ঘনিয়ে আসত তার আমলের মাত্রা ততই বেড়ে যেত। সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) নির্দেশ করতেন রমজানের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য। শবে বরাত অতিক্রান্ত হওয়ার পর তাদের কাজে-কর্মে ও আমলে রমজানের একটা আমেজ এসে যেত।
রমজানের পূর্বপ্রস্তুতিতে প্রথমেই প্রয়োজন সব কিছুর কেন্দ বিন্দু আত্মাকে নিষ্কলুষ করা। সব ধরনের পাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকার দৃঢ় মানসিকতা এখন থেকেই তৈরি না করলে রমজান এসে গেলে তা আর সম্ভব হবে না। রমজানে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি রাখতে হবে হালাল রিজিকের প্রতি। আর এর জন্য প্রয়োজন হালাল উপার্জন। অন্তত একটি মাসে হালাল রিজিকের প্রতি যত্নবান হই। যে লোকমাটাই মুখে যাবে, তা হালাল হওয়া চাই।
মানুষের জীবনে ব্যস্ততার কোনো অন্ত নেই। মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত তাদের কোনো না কোনো ব্যস্ততা থাকেই। এই ব্যস্ততার কারণে অনেকেই রমজানের পূর্ণাঙ্গ হক আদায় করতে পারেন না। তাদের জন্য উচিত হলো রমজানের পূবেই সব ঝামেলামুক্ত হওয়া। অন্তত রমজানের এক মাস যেন কাজের চাপ কিছুটা কম থাকে সে ব্যবস্থা করা। মানুষের সাধ্যের বাইরে কিছু নয়। ইচ্ছা করলে সব কিছু বাস্তবায়ন করাই তাদের পক্ষে সম্ভব। কেউ কেউ রমজানে অধিক খরচের দোহাই দিয়ে ইনকামের সোর্স বাড়িয়ে দেন। সব কিছু বাদ দিয়ে টাকা রোজগারের ধান্দায় লেগে যান। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়। সংযম হচ্ছে রমজানের প্রধান শিক্ষা। সব কিছুতেই এই শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে না পারলে রমজান আমাদের জীবনের জন্য কোনো ফায়দা বয়ে আনবে না।
আমরা কেউই চাই না দুর্ভাগা হিসেবে নিজেকে দেখতে। তাই আসুন, আসন্ন রমজানকে সফল জীবন গঠনের ধাপ হিসেবে গ্রহণ করে এখন থেকেই এর পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করি। প্রস্তুতি ও অনুশীলন ছাড়া যেমন কেউ কোনো পরীক্ষায় ভালো করতে পারে না, তেমনি রমজানের রহমত, বরকত ও মাগফিরাত লাভের জন্য চাই পুরোদমে প্রস্তুতি।
(ঢাকাটাইমস/২৭মে/জেবি)