ঢাকা: ঢাকার মার্কিন দূতাবাস প্রশাসন যন্ত্রের ১৩ জন অতিরিক্ত সচিবকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। অফিসিয়াল পাসপোর্ট ও সরকারি আদেশ থাকার পরও তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ৪৭ জন অতিরিক্ত সচিবের এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও ভিসা পেয়েছেন ৩৪ জন।বিষয়টি নিয়ে বিব্রত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘স্ট্রেংদিং গভর্নমেন্ট থ্রো ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব দ্য বিসিএস ক্যাডার অফিসিয়ালস’- প্রকল্পের অর্থায়নে প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে তারা যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার কথা ছিল। গত ৫ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্ল্যানিং সেল থেকে ৪৭ জন অতিরিক্ত সচিবের যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার বিষয়ে একটি সরকারি আদেশ জারি করা হয়।
ওই আদেশে বলা হয়, জাপানের জেডিসিএফ ফান্ডের অর্থে যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিসিআইডি) ও স্যানফোর্ড স্কুল অব পাবলিক পলিসি, ডিউক ইউনিভার্সিটিতে পেশাগত উন্নয়নে বিভিন্ন ট্রেনিং ও শিক্ষামূলক প্রোগ্রামে অংশ নেবেন।
যারা ভিসা পাননি তারা হলেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুজ্জামান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সরদার আবুল কালাম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হুসেইন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী সদস্য এসএম শওকত আলী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সিরাজুল হক খান, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের সদস্য একেএম শহিদুর রহমান, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাহানারা পারভীন, গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক একেএম নেছার উদ্দিন ভূঁইয়া, ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খোরশেদ আলম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান ও ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শেখ আব্দুল মান্নান।
(ঢাকাটাইমস/০৩জুন /এআর/ ঘ.)