রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক মুকুল
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৮ জুন, ২০১৫ ১৬:১১:৫৬

ঢাকা: নারী নির্যাতন মামলায় একদিনের রিমান্ড শেষে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গাজী টিভির বার্তা সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মুকুলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ রবিবার রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করলে সিএমএম আদালত কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মাসুদ পারভেজ রিমান্ড শেষে এ আসামিকে আদালতে হাজির করেন।
শুনানিকালে মামলার বাদিনী দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আখতার আদালতে হাজির হন।
এর আগে গত আসামিকে ২৭ জুন ঢাকা সিএমএম আদালত তার সাতদিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৬ জুন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সেগুনবাগিচা থেকে মুকুলকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর থানা পুলিশ।
নাজনীন আখতার গত ২৫ জুন স্বামী মুকুল ও মেহেরুন বিনতে ফেরদৌস নামের আরেক নারীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় নাজনীন আখতার অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর একমাত্র মেয়ে চন্দ্রমুখী মারা যাওয়ার পর শোকে তিনি পাঁচতলা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। এরপর দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলেন। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে আবার তারা দুজন সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু এর মধ্যে মুকুল মেহেরুন বিনতে ফেরদৌস নামে জনৈক মহিলার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে কথা বললে স্বামী মুকুল বিভিন্ন সময়ে তাকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। মেহেরুনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়ও মুকুল তাকে কয়েকবার নির্যাতন করেছেন।
একবার রক্তাক্ত অবস্থায় সহকর্মীরা বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এর কিছুদিন পর তার দ্বিতীয় কন্যার জন্ম হয়। কিন্তু সন্তানের জন্মের পর থেকে কখনোই খোঁজ নিতেন না মুকুল। বিভিন্ন সময়ে মুকুল তার কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন। সর্বশেষ রাজউকে পূর্বাচলে বরাদ্দ পাওয়া একটি প্লটের কিস্তির জন্য তিনি ১৪ লাখ টাকা দেন মুকুলকে। কিন্তু মুকুল ওই প্লটটি নিজের নামে লিখে নেন এবং সম্প্রতি তা বিক্রিও করে দেন। এসব অপকমের প্রতিবাদ করায় নাজনীনকে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন করেন মুকুল।
(ঢাকাটাইমস/২৮জুন/আরজে/জেবি)