দেড় হাজার বছরের প্রাচীন পাণ্ডুলিপির পাঠোদ্ধার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
২৭ জুলাই, ২০১৫ ২৩:১০:৪৫

ঢাকা: অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সম্ভব করা গেল আপাত এক অসম্ভবকে। ইজরায়েলের আইন গেদে অঞ্চলের একটি স্তূপে খননকার্য চালিয়ে ১৯৭০ সালে খুঁজে পাওয়া একটি পাণ্ডুলিপির পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানালেন গবেষকরা। প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরোনো ওই পাণ্ডুলিপিটি কোনও দুর্ঘটনায় অথবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রায় চার দশকের চেষ্টায় পুড়ে যাওয়া পাণ্ডুলিপিটি থেকে বাইবেলের বাণী পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি।
মরু সাগরের তীরবর্তী পার্বত্য অঞ্চলের গুহাকন্দরে ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত অনুসন্ধান চালিয়ে খুঁজে পাওয়া পাণ্ডুলিপিগুলির মধ্যে এত প্রাচীন পাণ্ডুলিপি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। হিব্রু বাইবেলের যে পাঁচটি সংস্করণ পাওয়া যায় তার মধ্যে এই সংস্করণটি-ই প্রাচীনতম বলে মনে করছেন গবেষকরা। পাণ্ডুলিপিটির বেশ কিছুটা অংশ ভয়াবহ ভাবে পুড়ে যাওয়ার জন্যই এত দিন এখানে কী লেখা আছে তা পড়া যাচ্ছিল না।
হয়তো প্রাচীন এই পাণ্ডুলিপিতে কী লেখা আছে তা কখনওই পড়া যেত না, কিন্তু কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক ব্রান্ট সিলসের যুগান্তকারী ‘ভার্চুয়াল আনর্যা পিং টুল’ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই পাণ্ডুলিপির পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সাফল্যের কথা জেরুজালেমে ঘোষণা করেন ইজরায়েলের সংস্কৃতিমন্ত্রী মিরি রেগেভ ও ইজরায়েলের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ইজরায়েন হাসোন। যাঁর আবিষ্কারের ফলে এই আপাত অসম্ভব সম্ভব করা গিয়েছে সেই ব্রান্ট সিলসও স্কাইপের মাধ্যমে আমেরিকায় বসেই জেরুজালেমের এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
সিলস জানিয়েছেন, কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে এই পান্ডুলিপির শেষ পাতাটি ‘খোলার’ পর দেখা গিয়েছে এই পান্ডুলিপি ‘বুক অফ লেভিটিকাসের’ শুরুর দিকের অংশ। গবেষণায় জানা গিয়েছে এই পাণ্ডুলিপি খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে লেখা হয়েছিল।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/এমএটি)