শনি ও বৃহস্পতির উপগ্রহে দুঃসাহসিক অভিযানের ঘোষণা!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
২৭ জুলাই, ২০১৫ ২৩:১৫:২৫

ঢাকা: নাসার প্লুটো অভিযানের সাফল্যে উৎসাহিত ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ঘোষণা করল এক দুঃসাহসিক অভিযানের কথা। বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের চারটি উপগ্রহে প্রাণের অনুসন্ধানে বিশেষ মহাকাশযান প্রেরণ করার উদ্যোগ নেবে ইউরোপীয় দেশগুলির মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা এই সংস্থা।
সাত বছর পর, ২০২২ সালে এই সংস্থা একটি এরিয়ান-৫ রকেট ছাড়বে প্রথমে বৃহস্পতি ও পরে শনি লক্ষ্য করে। রকেটের ওপর যে গবেষণা যান বসানো থাকবে তার উদ্দেশ্য বৃহস্পতির সবচেয়ে বড় তিন উপগ্রহ গ্যানিমিড, ক্যালিস্টো ও ইউরোপা এবং শনির বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটানের হিমশীতল পরিবেশে প্রাণের সন্ধান চালানো।
বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরেই আশা করে এসেছেন বৃহস্পতি বা শনির কোনও কোনও উপগ্রহ হয়তো প্রাণ ধারণের উপযুক্ত। কিন্তু, সূর্য থেকে দূরত্বের জন্য এই উপগ্রহগুলিতে ভালো ভাবে আলো বা উত্তাপ- কোনও কিছুই পৌঁছায় না। তাই, গ্রহগুলির উপরিতলের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেকটাই নীচে।
কিন্তু, গত কয়েক বছরে উন্নততর টেলিস্কোপ ও কৃত্রিম উপগ্রহগুলি থেকে পাঠানো বিভিন্ন তথ্য ও ছবি দেখে বিজ্ঞানীরা অনুমান করতে শুরু করেছেন অতিকায় মাপের এই দুই গ্রহের কয়েকটি উপগ্রহের উপরিতল যতই শীতল হোক না কেন, তাদের নীচে তরল সমুদ্র বর্তমান। অবশ্য, এই সমুদ্র তরল জলের না হাইড্রোকার্বনের তা নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে।
সেই সংশয়ের অবসান ঘটাতেই ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির এই অভিযান। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গবেষণার জন্য যে এরিয়ান-৫ রকেটটি ছাড়া হবে, ওই রকেট পৃথিবী, শুক্র ও মঙ্গলের চারপাশে কিছুদিন ঘুরে এই তিন গ্রহের অভিকর্ষ বলকে কাজে লাগিয়ে ন্যূনতম জ্বালানি খরচে বৃহস্পতির কক্ষপথের দিকে এগিয়ে যাবে।
বৃহস্পতি গ্রহের তিনটি উপগ্রহের ওপর সাড়ে তিন বছর গবেষণা চালানোর কথা এই মহাকাশযানের। চারটি উপগ্রহ থেকেই মাঝে মাঝে ফোয়ারার মতো ঘন গ্যাসের স্রোত বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। এদের ‘ব্ল্যাক স্মোকার্স’ বলা হয়। ফোয়ারাগুলির জন্যই অনুমান করা হয় এখানে গরম কিছুর অস্তিত্ব আছে।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/এমএটি)