এশিয়ান টেলিভিশনে ছাঁটাই আতঙ্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০১ আগস্ট, ২০১৫ ১৫:৫০:৪২

ঢাকা: এশিয়ান টেলিভিশনে সংবাদ ও টেকনিক্যালসহ সব বিভাগের কর্মীরা ছাঁটাই আতঙ্কে রয়েছেন। এই আতঙ্কে অনেকেই আগে থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিচ্ছেন।
এশিয়ানের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে ভারপ্রাপ্ত বার্তা প্রধান কুদরত-ই মাওলা ই-মেইলে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এর কয়েকদিন আগে সিনিয়র বার্তা সম্পাদক জাকির হোসেনও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এরপর একসাথে চার সংবাদকর্মীকে ডেকে নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা হচ্ছেন-নিউজরুম এডিটর নূরে আলম আসিফ, মিথুন চৌধুরী, সিনিয়র রিপোর্টার ফাত্তাহ উদ্দিন সজল এবং নূরে আলম। সিনিয়র রিপোর্টার কাজী রুনা ছয় মাসের ছুটি নিয়ে বিদেশে যাচ্ছেন।
ছাঁটাইয়ের তালিকায় এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার সুমন মাজহার, মফস্বল ইনচার্জ বিশ্বজিত দত্তের নামও রয়েছে বলে জানা গেছে।
এশিয়ান টিভির ভারপ্রাপ্ত বার্তা প্রধান কুদরত-ই মাওলা বৃহস্পতিবার ইমেইলে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
এশিয়ান টিভির সিনিয়র বার্তা সম্পাদক জাকির হোসেন পদত্যাগপত্র জমা দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, ছাঁটাই আতঙ্ক শুনে আমি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আরও অনেকে দিয়েছেন।
কেন দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানে কাজের পরিবেশ নেই। আর আমি দুই মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না।
নাজিফা ফারাহ, মিথিলা ইসলাম, আশিক দিদার, শিমুল মজলিশ, ইফতেখারুল ইসলাম, নাজিয়াত শাহরিনসহ চ্যানেলটির সাতজন সংবাদ উপস্থাপকও পদত্যাগ করেন বলে জানা গেছে।
এর আগে এক বছর ২৮ দিনের মাথায় চ্যানেলটি থেকে পদত্যাগ করেন সিনিয়র সাংবাদিক নাদিম কাদির। গত বছরের ২৮ অক্টোবর তিনি পদত্যাগ করেন। ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর হেড অব নিউজ হিসেবে নাদিম কাদির এশিয়ান টিভিতে যোগদান করেন। তিনি অফিসের প্রতি অমনোযোগী ছিলেন বলে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে। অফিস তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাতে চাইলে তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় একের পর এক ছাঁটাই চলছেই।
এ বিষয়ে কথা বলতে শনিবার এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদের ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
(ঢাকাটাইমস/১আগস্ট/এইচআর/জেবি)