logo ১৭ মে ২০২৫
গাড়ি চুরি প্রক্রিয়ায় তিন ধাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১০ আগস্ট, ২০১৫ ১৮:৪৮:১১
image

ঢাকা: গাড়ি চুরি চক্রের সদস্যরা তিন ধাপে কাজ করে থাকে। প্রথমে তাদের একটি দল যাত্রীবেশে গাড়ি ভাড়া করে। ছিনতাইয়ের পর গাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দলটি গাড়ির রং ও আকৃতি পরিবর্তন করে। তৃতীয় দলটি চোরাই গাড়িটি বিক্রি করে।


রাজধানীর মিরপুরে র‌্যাব-৪ কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে পরিচালক (সিও) খন্দকার লুৎফুল কবির এসব তথ্য জানান।


এর আগে, সাভারের আমিন বাজার এলাকায় খন্দকার হোসেন প্লাজার সামনে থেকে রবিবার রাত একটার দিকে গাড়ি চুরি চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে র‌্যাব।


আটকরা হলেন- মো. জাকির হোসেন (৪০), মো. মোহসীন (৪০), মো. রহমান (৫০), মোমিনুর রহমান (৫৭), মোবারক হোসেন (৪০), মনির হোসেন (৩৭) ও মো. হেলাল (৫২)।


লুৎফুল কবির বলেন, আটকদের কাছথেকে দুটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। এ চক্রের সদস্যরা ছিনতাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যাওয়ার পর ভাড়া করা গাড়ির চালককে প্রয়োজনে হত্যাও করে। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে গাড়ি চুরি করে আসছে।


তিনি আরও বলেন, ভুক্তোভোগী শাহাদাত হোসেনের (৩০) অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ওই সাতজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। শাহাদাত একজন গাড়ি চালক। গত ৩০ মে করিম ও মনির নামে দুইজন মাদারীপুর যাওয়ার কথা বলে আব্দুল্লাহপুর থেকে গাড়ি ভাড়া করে। যাওয়ার পথে সাভার থানা রোডের সামনে থেকে করিম তার স্ত্রী ও সন্তানকে তুলে নেয়। ওই দিন রাত নয়টার দিকে মাদারীপুরের টেকেরহাট হাইওয়ে রোডে করিম তার স্ত্রী-সন্তানকে নামিয়ে দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।


শাহাদাত হোসেন বলেন, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ছানবাড়ির সামনে এলে করিম আমার হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এরপর পেছনে বসা মনির তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে আমার বুকে আঘাত করলে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে মনির গাড়ি ফেরত দেওয়ার জন্য আমাকে ফোন করে দেড় লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু আমি বিকাশের মাধ্যমে ধাপে ধাপে ৯০ হাজার টাকা দিলেও তারা গাড়ি ফেরত দেয় না। পরে আমি শ্রীনগর থানায় একটি মামলা করি। কিন্তু কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় আমি র‌্যাবকে বিষয়টি জানাই।


(ঢাকাটাইমস /১০আগস্ট/এএ/জেবি)