logo ১৬ মে ২০২৫
চাকরিতে প্রতারণার নতুন ফাঁদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৫ আগস্ট, ২০১৫ ১০:৪৪:১০
image


ঢাকা: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে এমওডিসি ও সৈনিক পদে চাকরি দেয়ার নামে নতুন ফাঁদ পেতেছিল একটি প্রতারণা চক্র। এদের অনেকেই আবার বিমান বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা!

এ চক্রের চার জন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন, বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার মো. সিদ্দিকুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত সিভিল স্টাফ মো. জহিরুল ইসলাম ও দুই সহযোগী মো. স্বপন হোসেন ও মো. এনামুল হক লিটন।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের উপ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পল্লবী ডিওএইচএস এলাকা থেকে সোমবার রাত ৮টার দিকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজতে থাকা ৪৬ জন ভিক্টিমকে উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া বিভিন্ন কলেজের প্রভাষক, হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা কর্মকর্তা, সরকারি ডাক্তার, ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের ৫০টি সিল, ৪৬টি একশত টাকার ননজুডিশিয়াল স্টাম্প ও নিকাহনামা, ৬০টি এমওডিসি (মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্স কনস্টেবল) পদে চাকুরীর আবেদন ফরম ও ৫২টি মেডিকেল রিপোর্টের নথি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে শেখ নাজমুল বলেন, বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার মো. সিদ্দিকুর রহমান বর্তমানে হোটেল রেডিসনে সিকিউরিটিতে কর্মরত আছেন। আর অবসরপ্রাপ্ত সিভিল স্টাফ মো. জহিরুল ইসলাম রেডিসনেই সময় দেয়। এরা মূলত বিমান বাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেয়ার ফাঁদ পেতেছিল।

এজন্য তারা ৪৫ জন যুবককে পল্লবী ডিওএইচএস এলাকার ৯ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে কোচিং করার নাম করে আটকে রেখেছিল। প্রাথমিকভাবে কোচিং-এর বিভিন্ন খরচ ও তাদের খাওয়া-থাকার জন্যে ৫-১০ হাজার টাকা করে নেয় তারা।

তিনি আরও বলেন, এই প্রতারক চক্রটি ওই যুবকদের কাছ থেকে একশত টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ও স্বতন্ত্র নিকাহনামায় স্বাক্ষর নেয়। যেন পরবর্তিতে চাহিদা মত টাকা আদায়ে ব্যর্থ হলে ব্লাংক (খালি) নিকাহনামায় অন্য কোন নারীকে ব্যবহার করে নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দিয়ে বিপাকে ফেলা যায়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ নাজমুল আলম বলেন, তারা মূলত জেলা ভিত্তিক এজেন্টের মাধ্যমে লোক জোগাড় করত। এখন যেহেতু বিমান বাহিনীতে উত্তর অঞ্চলের নিয়োগ চলছে তাই তারা উত্তর অঞ্চলেই এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে।

তারা কতদিন ধরে এ কাজ করে আসছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটাই তাদের প্রথম ছিল। এর আগে কাউকে এরা নিয়োগ দেয়নি। তবে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কতদিন ধরে এ কাজ করছে এবং এর আগে কাউকে নিয়োগ দিয়েছে কিনা তা জানা যাবে।

আটক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং যে বাড়িতে তাদের আটক রাখা হয়েছিল সে বাড়ির লোকজন জড়িত আছে কিনা এ ব্যাপারে ব্যাপক তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/জেএস/এএ/ ইএস)