শেয়ার কেলেঙ্কারি: দুই পরিচালকের ৪ বছরের জেল
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
৩১ আগস্ট, ২০১৫ ১২:০৬:১২

ঢাকা: চিক টেক্সটাইলের শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলায় দুই পলাতক পরিচালকের চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পুঁজিবাজারের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তাদের ৩০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড হয়েছে।১৯৯৬ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় এটি প্রথম রায়।
সোমবার সকালে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ূন কবির এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামিরা অনুপস্থিত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে জরিমানার অর্থ সরকার ইচ্ছা করলে ঘটনার সময় ক্ষতিগ্রন্তদের স্বার্থে ব্যয় করতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মাকসুদুর রসুল ও পরিচালক ইফতেখার মোহাম্মদ। আজ রায় ঘোষণার সময় আসামিদের কেউ আদালতে ছিলেন না।মামলার আসামিরা হলেন- কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. মাকসুদুর রাসুল ও পরিচালক ইফতেখার মোহাম্মদ।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হলেন অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা খান, বিশেষ আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই আসামিদের কেউই আদালতে হাজির ছিলেন না, কিংবা তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবীও আদালতে ছিলেন না।
১৯৯৬ সালে চিক টেক্সটাইলের শেয়ারের দর কৃত্রিমভাবে বাড়ানোর অভিযোগে আসামি দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। পরবর্তী সময়ে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। কিন্তু বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ শুরু হওয়ার গত ২৮ জুন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আসামিরা চিক টেক্সটাইলের শেয়ারের দর বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড করেছেন। ওই সময় বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে ভাল মুনাফা করার জন্য ইঞ্জিনিয়ার মো. মাকসুদুর রসূল ৮ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৪টি ও পরিচালক ইফতেখার মোহাম্মদ ৮ লাখ ৩৫ হাজার শেয়ার অপারেট করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ২১ ধারা অনুযায়ী একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
পরে ১৯৯৭ সালের ২ এপ্রিল বিএসইসির ওই সময়ের নির্বাহী পরিচালক এম এ রশীদ খান বাদী হয়ে তদন্তের সকল প্রমাণাদিসহ আসামিদের বিরুদ্ধে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন।
চিক টেক্সটাইল ১৯৯৬ সালে বস্ত্র খাতের কোম্পানি হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটি কারসাজির মাধ্যমে সাত টাকার শেয়ার ৪৬ টাকায় উঠিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/এমএন)