তিন স্তরে বিভক্ত জাল টাকা তৈরির কার্যক্রম
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৬:৫০:১৬

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা তৈরি চক্রের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরা হলেন-মো. বাদশা মিয়া, আবদুল জলিল, জয়নাল খন্দকার, বায়েজিদ বোস্তামি, মহসিন ওয়াসিম ও মো. সোহাগ। গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, জাল টাকা তৈরির কার্যক্রম তিন স্তরে করে থাকে এই অপরাধী চক্র।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা তৈরি চক্রের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে এক কোটি বিশ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এই চক্রটির একটি গ্রুপের কাজ হলো টাকার যাবতীয় বৈশিষ্ট্য ঠিক রেখে কাগজ তৈরি করে বাদশা মিয়ার চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা। পরবর্তী সময়ে বাদশা মিয়া, আবদুল জলিল, জয়নাল খন্দকার, বায়েজিদ বোস্তামি, মহসিন ওয়াসিম এবং সোহাগদের নিয়ে উক্ত কাগজে কম্পিউটার ও প্রিন্টারের মাধ্যমে টাকার ছাপ দিয়ে টাকা তৈরি করা। অন্য গ্রুপের কাজ হলো ওই টাকাগুলো দেশব্যাপী সরবরাহকারী গ্রুপের মাধ্যমে জালটাকা বাজারজাত করা। আর বাজারজাত গ্রুপের মধ্যে রয়েছে, মাহবুব মোল্লা, সেলিম মিয়া, হানিফ গাজী, জামান, ইমন ও সাজু।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা মূলত আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে যখন টাকার লেনদেন বেশি হয়, সেই সুযোগে তারা দেশব্যাপী জালটাকা সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল।
এজন্য তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে জালটাকা তৈরির কারখানা স্থাপন করে। এসব কারখানায় বিপুল পরিমাণ জালটাকা, ভারতীয় রুপি, ডলার, ইউরোপসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের টাকা তৈরি করে দেশব্যাপী বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাজারজাত করে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম, উপকমিশনার (পূর্ব) মাহবুব আলম, উপ কমিশনার (পশ্চিম) সাজ্জাদুর রহমান, উপকমিশনার (মিডিয়া) মুনতাসিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১সেপ্টেম্বর/এএ/জেবি)