logo ০৮ জুন ২০২৫
আন্তর্জাতিক কিডনি পাচার চক্রের ৫ সদস্য আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৯ আগস্ট, ২০১৫ ১২:০১:১৭
image

ঢাকা: আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবি)। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আবদুল জলিল, শেখ জাকির ইবনে আজিজ ওরফে শাকির, আশিকুর রহমান ওরফে জেবিন, ফজলে রাব্বি ও জিহান রহমান। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে দুইটি চেতনানাশক ইনজেকশন, সিরিঞ্জ ও একটি ধারালো ও একটি তোয়ালে উদ্ধার করা হয়।


শনিবার দুপুর সোয়া একটার সময় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।


মনিরুল ইসলাম বলেন, কিডনি কেনাবেচা চক্রের দালাল আবদুল জলিল জয়পুরহাট থেকে কিডনি বেচার উদ্দেশ্যে আবু হাসান নামের এক যুবককে ঢাকায় নিয়ে আসার পথে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে গ্রেপ্তার হন।


ভিকটিম আবু হাসানের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, একটি কিডনি দেওয়ার বিনিময়ে তাকে একটি সিএনজি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় আনেন। পরবর্তী সময়ে আবদুল জলিলের দেওয়া তথ্যমতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা একাডেমি এলাকা থেকে ভিকটিম মাহবুবুর রহমান শান্তকে উদ্ধার করা হয়। ওই স্থান থেকে পুলিশ আরও চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।


ডিবির যুগ্ম কমিশনার আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আশিকুর রহমান জেবিন ভিকটিম তার পূর্ব পরিচিত মাহবুবুর রহমান শান্ততে ২০ হাজার টাকার লোভ দিয়ে নিয়ে আসে তার চাচীকে রক্ত দেওয়ার কথা বলে। অপর আসামি শেখ শাকির জানায়, সে চার লাখ টাকার বিনিময়ে তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ভিকটিম শান্তকে ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে কিডনি অপসারণের জন্য আন্তর্জাতিক দালাল চক্রের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল।


জিজ্ঞাসাবাদে তারা আর জানায়, কিডনি অপসারণের পর শান্তকে হত্যা করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাদের। এই মাস্টার প্লান করেছিল শেখ শাকির নিজেই।


যুগ্ম কমিশনার আরও বলেন, কিডনি পাচার চক্রের দালাল আবদুল জলিল ভারতেও কিডনি বিক্রি করেছে এমন তথ্য রয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। যারা কিডনি দিতে অস্বীকার করতে তাদেরকে অজ্ঞান করে কিডনি নেওয়া হতো। কিডনি বেচা কেনা বেআইনি। তবে কারও যদি কিডনি প্রয়োজন হয়, তাহলে তার রক্তের সম্পর্কের লোকজন স্বেচ্ছায় দিতে পারবে এ বিষয়ে কেউ তাকে জোর করতে পারবে না।


তিনি আরও বলেন, এরা পরিকল্পনা করে ভিকটিমদেরকে কিডনি নেওয়ার পরে হত্যার পরিকল্পনা করে। তাদেরকে হত্যা করে লঞ্চের একটি সিট বুকিং করে অনত্রে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাদের।


ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার মাশরেকুর রহমান খালেদের নির্দেশনায়, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকীর নেতৃত্বে এ অভিযানটি পরিচালিত হয়।


ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার মাশরেকুর রহমান খালেদ, জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মুনতাসিরুল ইসলাম ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।


(ঢাকাটাইমস/২৯আগস্ট/এএ/জেবি)