logo ১৮ মে ২০২৫
কোরআনের হৃদপিণ্ড যে সুরা
ইসলাম ডেস্ক
২৭ নভেম্বর, ২০১৫ ১৯:১২:২৩
image

ঢাকা: পবিত্র কোরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে সূরা ইয়াসিন বিশেষ তাৎপর্য ও গুরুত্ব বহন করে। বিশ্বজাহান সৃষ্টির প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে মহান রাব্বুল আলামিন এ সূরা তেলাওয়াত করে ফেরেশতাদের শুনিয়েছিলেন। সূরা ইয়াসিনের বৈশিষ্ট্য, সৌরভ, তাৎপর্য ও ফজিলতের কথা শুনে তারা বিস্মিত হয়ে মাওলার কুদরতি পায়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়েছিলেন। সুরা ইয়াসিন শুনেই পবিত্র কোরআনের বিশালত্ব সম্পর্কে তাদের মধ্যে সম্যক ধারণা বদ্ধমূল হয়েছিল।


সূরা ইয়াসিনকে কোরআনের রূহ বা প্রাণ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ফজিলতের দিক থেকে এ সূরা যেমন অদ্বিতীয় তেমনি মানুষের জীবনসংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনায় এ সূরা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ইমাম গাজালি রহ. বলেন, সুরা ইয়াসিনকে  কোরআনের হৃৎপিণ্ড বলার কারণ হচ্ছে, এ সূরায় কিয়ামত ও হাশর-নাশরের বিশদ ব্যাখ্যা অলঙ্কার সহকারে বর্ণিত হয়েছে। পরকালের বিশ্বাস ইমানের এমন একটি মূলনীতি, যার ওপর মানুষের সব আমল ও আচরণের বিশুদ্ধতা নির্ভরশীল।


পরকালভীতিই মানুষকে সৎকর্মে উদ্বুদ্ধ করে এবং অবৈধ বাসনা ও হারাম কাজ থেকে বিরত রাখে। অতএব দেহের সুস্থতা যেমন অন্তরের সুস্থতার ওপর নির্ভরশীল; তেমনি ইমানের সুস্থতা পরকাল চিন্তার ওপর নির্ভরশীল।

সূরা ইয়াসিনের ফজিলত সম্পর্কে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, বস্তু মাত্রেরই একটি অন্তর রয়েছে। কোরআনের অন্তর হলো ইয়াসিন। যে ব্যক্তি  এ সূরা একবার পাঠ করবে আল্লাহ পাক তাকে (পুরস্কারস্বরূপ) দশবার পবিত্র কোরআন খতম করার তাওফিক দান করবেন। অন্য হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি কোনো রাতে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ পাক তাকে ওই রাতেই মাফ করে দেবেন।


আলী রা. সূত্রে বর্ণিত, যে ব্যক্তি এ সূরা পাঠ করবে, তাকে বিশ হজের সমান সওয়াব দান করা হবে। আর যে এ সূরার তেলাওয়াত শুনবে সে আল্লাহর রাহে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ব্যয় করার সমান সওয়াব পাবে। আর যে এ সূরাকে লিখবে, তার অন্তরে এক হাজার নূর, এক হাজার একিন, এক হাজার নেকি এবং এক হাজার রহমত প্রবেশ করিয়ে দেয়া হবে। পাশাপাশি এক হাজার হিংসা-বিদ্বেষ এবং অন্তরের রোগ বের করে দেয়া হবে। প্রত্যেক মুসলমানের প্রতিদিন সকাল-বিকাল ফজিলতপূর্ণ এই সূরাটি তেলাওয়াত করা উচিত।


(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/জেবি)