তওবা: মুমিনের রক্ষাকবচ
ইসলাম ডেস্ক
২৯ নভেম্বর, ২০১৫ ১৬:৫৩:০০

ঢাকা: একবার গুনাহ হয়ে গেলে তওবা করে নিন, দ্বিতীয়বার হলে আবার তওবা করে নিন। এভাবে যতবার গুনাহ ততবারই তওবা করতে হবে। কারণ তওবা মুমিনের রক্ষাকবচ। যতবার আপনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন তিনি ততবার ক্ষমা করে দেবেন। এমনকি একই গুনাহ সত্তরবার করলেও তওবা করলে আল্লাহ তা ক্ষমা করে দেবেন। কারণ তওবার দরজা উন্মুক্ত। গুনাহ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে নিতে হবে। গুনাহের ব্যাপারে লজ্জিত হয়ে তা আগামীতে আর না করার অঙ্গীকার করতে হবে। তওবার দ্বারা প্রতিটি গুনাহ মাফ হয়ে যায়। তবে একমাত্র বান্দার হক তওবা দ্বারা মাফ হয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বান্দা না মাফ করবে ততক্ষণ এই হক মাফ হবে না।
ইস্তেগফার বা তওবার ফায়দা অনেক। ইস্তেগফার একটি স্বতন্ত্র ইবাদতও। এর দ্বারা আল্লাহর নৈকট্যও হাসিল হয়। যখন বারবার ইস্তেগফার করবে তখন বারবার গুনাহ করতে লজ্জাবোধ হবে। আল্লাহর রহমতের বিশালতা তখন অনুভূত হবে যে, আমি কত গুনাহ করেছি অথচ তিনি আমাকে কত নেয়ামত দান করেছেন। যার অন্তরে সবসময় ভুলের অনুভূতি জাগ্রত থাকে, যিনি সবসময় কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত থাকেন, তার ভেতরে কোনো অহংকার জন্মা না। তার মধ্যে তাকওয়ার গর্ববোধও জাগবে না; সবসময় গুনাহের কথাই মনে পড়বে।
ইস্তেগফারও এমন একটি আমল যার জন্য কোনো সময় নির্ধারিত নেই। সবসময়ই এর প্রয়োজন রয়েছে। জেনেবুঝে এবং অজ্ঞাতসারে কত গুনাহ যে আমাদের হয়ে গেছে এর কোনো ইয়ত্তা নেই। অনেক গুনাহ তো এমন আছে যার অনুভূতিও আমাদের হয় না। আবার অনেক গুনাহ আছে যাকে আমরা গুনাহই মনে করি না। এসব বিষয় যখন মনে মনে ভাবনায় আসবে তখন লজ্জা অনুভূত হবে এবং মন আল্লাহর দিকে রুজু হবে হে আল্লাহ! আমি অনেক লজ্জিত। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও। আগামীতেও এই ধরনের গুনাহ থেকে আমাকে রক্ষা করো। এটা এমন এক আমল যার দ্বারা বান্দার ওপর আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের দরজা খুলে যায়। এর দ্বারা অন্তর লজ্জিত হওয়ার পাশাপাশি একটি প্রশান্তিও বোধ করে।
(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/জেবি)