টেকনাফ (কক্সবাজার): কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ইয়াবার চালান ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগে মোহাম্মদ হোসেন মাঝি (২২) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।
শনিবার রাত ১২ টার দিকে সাবরাং হারিয়াখালী থেকে যুবকের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত যুবক সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী এলাকার মো. সোনা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে শাহপরীর দ্বীপ কোস্টগার্ড সদস্যরা টেকনাফের নাফ নদীতে একটি কাঠের ট্রলার আটক করে। পরে ট্রলার থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাবড়ি উদ্ধার করে। কোস্টগার্ডকে এ ইয়াবার সন্ধান দেওয়ার অভিযোগে কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীরা হোসেন মাঝিকে ধরে নিয়ে মারধর করলে সে মারা যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের এসআই গৌতম রায় সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গিয়ে সাবরাং হারিয়াখালীর একটি ছোট ভাঙ্গা ঝুপড়ি ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত যুবকের মা জোহরা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে নাফনদীতে কোস্টগার্ড সদস্যরা ১০হাজার পিস ইয়াবাবড়ি একটি ট্রলার আটক করে। এসময় কোনো লোক আটক হননি। ওই ট্রলারের মালিক মালিক জাকের হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ী আমার ছেলে মো. হোসেনকে ডেকে নিয়ে যায়। তারা কোস্টগার্ডকে তথ্য দিয়ে ইয়াবা ও ট্রলার আটকের জের ধরে হোসেনকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। রাতে আহত অবস্থায় সে মারা যায়। খরব পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, ইয়াবা (গুটির) জন্য আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। তারা আমার ছেলেকে নাফনদী মাছ শিকারের কথা বলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. জাকিরকে প্রধান করে ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে জানতে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো.মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. কবির হোসেন জানান, লাশটি উদ্ধার করে সুরুতহাল তৈরী করে কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে এবং অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)