logo ২৩ এপ্রিল ২০২৫
সাগর-রুনী হত্যার বিচার চেয়ে ১ মাসের আল্টিমেটাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৬:১৬:১৭
image



ঢাকা: সাংবাদিক দম্পতি মেহরুন রুনী ও সাগর সারোয়ার হত্যার বিচার দাবিতে এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা।






বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি চত্বরে এক সমাবেশে এ আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিকদের বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ)।






সমাবেশে সাগর-রুনীর একমাত্র সন্তান মেঘ এবং মেহরুন রুনীর ভাই নওশের আলম উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, আগামীকাল ইন্দিরা রোডে ৬৬/১২ রুনীর মায়ের বাসায় বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।






সমাবেশ শেষে ডিআরইউর সভাপতি জামাল উদ্দিন সাংবাদিক দম্পতি হত্যার বিচার দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে হত্যাকারী শনাক্ত করে বিচারের আওতায় না আনলে গণসংযোগ, গণস্বাক্ষর, মিছিল ও সমাবেশ করা হবে।






সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়ে ডিআরইউর সভাপতি  বলেন, তাহলে সাংবাদিকদের দাবির কাছে সরকারকে মাথা নত করতেই হবে।






ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক রাজু আহাম্মেদের সঞ্চালনায় সাংবাদিক নেতারা সরকারকে প্রশ্ন রেখে বলেন, খুনিরা কি রাষ্ট্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। তবে কেন বছরের পর বছর আন্দোলন করেও সাগর-রুনীর খুনিদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। বিচারকাজে বাধা হিসেবে কোনো সাংবাদিকের হাত থাকলে তাকেও গ্রেপ্তার করার দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।






বাংলাদেশ ফেড়ারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের খুনিদের শনাক্ত করেছে। কিন্তু চার বছরেও সাগর-রুনীর  খুনিদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।






সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাজ্জাদ হোসেন খান তপু,  প্রবীণ সাংবাদিক খুদরত-ই খুদা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক  কুদ্দুস আফ্রাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুর আলম লাভলু, মনিরুজ্জামান উজ্জল, ডিআরইউ সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল হোসেন প্রমুখ।






২০১২ সালের ১১ ফ্রেব্রুয়ারি ঢাকার রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসা থেকে এই সাংবাদিক দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর আলোচিত এই হত্যার তদন্তে পুলিশের শীর্ষপর্যায় থেকে ‘প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতির’ দাবি করা হয়। তবে পরে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের কাছ থেকে তদন্তের ভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।






র‌্যাবের কর্মকর্তারা হত্যাকাণ্ডের চার মাস পরে মৃতদেহ কবর থেকে তুলে নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ টেস্টের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিলেন। তবে সন্দেহভাজনদের কারো সঙ্গেই সেই নমুনা মেলেনি।






 (ঢাকাটাইমস/১১ফ্রেব্রুয়ারি/টিএ/মোআ)