চার বছরেও অধরা সাগর-রুনি হত্যার রহস্য
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১২:১৮:৫৩

ঢাকা: সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের চার বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ বুধবার। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হয়নি। শেষ হয়নি তদন্তকাজ। শুরু হয়নি বিচারপ্রক্রিয়া। এতে হতাশ সাগর-রুনির পরিবার এবং সাংবাদিক সমাজ।
থানা পুলিশ থেকে ডিবি হয়ে বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে র্যাব। একাধিকবার বদল করা হয়েছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও আলামত পাঠিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়েছে। মামলার তদন্ত সংস্থার কাছে সেই পরীক্ষার প্রতিবেদনও এসেছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য। তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।
র্যাবের পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত চলছে। সব ধরনের পন্থা অবলম্বন করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, সব হত্যাকাণ্ডরই যে দ্রুত রহস্য উদ্ঘাটন হয়ে যায় তা নয়, স্পর্শকাতর মামলাগুলোতে সময় লাগে। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড একটি স্পর্শকাতর মামলা। এ কারণে এর রহস্য উদ্ঘাটনে একটু সময় বেশি লাগছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানাধীন পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সাংবাদিক মেহেরুন রুনি। হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিজ বাসায় সাংবাদিক দম্পতি খুনের ঘটনায় সারাদেশে সাংবাদিক থেকে শুরু করে পেশাজীবী সবাই প্রতিবাদ এবং ঘাতকদের গ্রেপ্তারের দাবি করেছিলেন। ওই সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে ঘোষণাও দিয়েছিলেন। শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নয় তৎকালীন অনেক মন্ত্রীই আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের গ্রেপ্তারে নানা আশ্বাস দেন। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন হয়নি।
হত্যা মোটিভ বের করতে না পারায় হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র্যাবে স্থানান্তর করা হয়। র্যাবে প্রথমে মামলাটি তদন্ত করেন সিনিয়র এএসপি জাফর উল্লাহ। পরে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন এএসপি ওয়ারেছ আলী মিয়া।
(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/জেবি)