জনপ্রতিনিধি নির্বাচন: ইসলাম কী বলে
ইসলাম ডেস্ক
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৪:৪৭:৩৪

ঢাকা: সংঘবদ্ধ জীবনে মানুষের আচার-আচরণ, লেনদেন ও তাদের শাসনব্যবস্থা কী হওয়া চাই-এর পুরো বিবরণ ইসলামে রয়েছে। সামষ্টিক জীবনে খলিফা নির্বাচনের ধারণা ইসলামে রয়েছে। সবার পক্ষ থেকে যিনি দায়িত্ব আঞ্জাম দেবেন তাকেই শাব্দিক অর্থে খলিফা বলা হয়। ইসলামে খলিফা শব্দটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। জনপ্রতিনিধি অনেকটা খলিফা শব্দের ভাবার্থ। শুধু ভোট দিয়ে একজনকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে নেয়া পর্যন্তই দায়িত্ব শেষ নয়। আপনার ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কর্মকাণ্ডের দায়ও আপনার ওপর বর্তাবে। আপনি সৎ ও যোগ্য লোককে নির্বাচিত করলে এর জন্য আপনি যেমন পুরস্কৃত হবেন তেমনি কোনো অযোগ্য ও অসৎ লোককে নির্বাচন করলে তার কর্মকাণ্ডের দায়ও আপনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না। এ জন্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচন সবাইকে সতর্ক ও সুবিবেচক হতে বলেছে ইসলাম।
ভোট দেয়ার অর্থ হলো প্রার্থীর যোগ্যতা ও সততার সাক্ষ্য দেয়া। এখন অযোগ্য ও অসৎ কাউকে আপনি ভোট দিলে মিথ্যা সাক্ষ্য দিলেন। আর মিথ্যা সাক্ষ্যের পরিণতি জাহান্নাম। জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দেয়ার আরেকটি অর্থ হলো প্রার্থীর পক্ষে আপনি সুপারিশ করলেন।
আল্লাহ বলেন, ‘যে লোক সৎ কাজের জন্য কোনো সুপারিশ করবে তার সুফল থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে লোক সুপারিশ করবে মন্দের পক্ষে তার বোঝার একটি অংশ সেও পাবে।’ সুতরাং সুপারিশ করার আগে আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কার পক্ষে সুপারিশ করছেন। আপনার ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতা ও সুযোগকে ব্যবহার করে যত ভালো কাজ করবে এগুলোর সওয়াবের একটা অংশ আপনিও পাবেন। অনুরূপ সে ক্ষমতা ও সুযোগকে ব্যবহার করে যত অন্যায়, দুর্নীতি ও গোনাহের কাজ করবে এর ভাগও আপনি পাবেন। এ জন্য স্থানীয় সরকার বা জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়া নিছক একদিনের ব্যাপার নয়; এর দায় আপনাকে ভোগ করতে হবে নির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় যতদিন থাকবেন ততদিন। আপনার একটি ভোট পারে সমাজের জন্য উপকারী একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে সহায়তা করতে। আবার সমাজ ও ধর্মের জন্য ক্ষতিকর ব্যক্তিও নির্বাচিত হতে পারেন আপনার ভোটে। তাই ভোটের আগেই আপনাকে ভাবতে হবে। ভোট একটি পবিত্র আমানত। আপনি এর সঠিক প্রয়োগ করলে উপযুক্ত বদলা পাবেন। আর অপপ্রয়োগ করলে এর পরিণতিও আপনাকে ভোগ করতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/জেবি)