এবিএম মূসার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০৮ এপ্রিল, ২০১৬ ১৫:৫৮:৩১

ঢাকা: বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সাংবাদিক এবিএম মূসা’র দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল শনিবার। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল এবিএম মূসা রাজধানীর ল্যাডএইড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
এবিএম মূসা ১৯৩১ সালে তার নানার বাড়ি ফেনী জেলার ধর্মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৬৪ বছর তিনি সংবাদপত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে গেছেন। ১৯৫০ সালে দৈনিক ইনসাফে যোগদানের মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু। ওই বছর তিনি তৎকালীন পাকিস্তান অবজারভারে যোগ দেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের পর কর্তৃপক্ষ পাকিস্থান অবজারভার বন্ধ করে দিলে তিনি দৈনিক সংবাদে যোগ দেন। অবজারভার খুলে দেয়া হলে ১৯৫৪ সালে তিনি সেখানে আবার যোগ দেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান অবজারভারে রিপোর্টার, স্পোর্টস রিপোর্টার, বার্তা সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমস প্রভৃতি পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে তিনি রণাঙ্গন থেকে সংবাদ পাঠাতেন। স্বাধীনতার পর তিনি বিটিভির মহাব্যবস্থাপক, মর্নিং নিউজের সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭৮ সালে এবিএম মূসা ব্যাংককে অবস্থিত জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রমের (এসকাপ) এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগ দেন। দেশে ফিরে এসে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি কিছুদিন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
এবিএম মূসা জাতীয় প্রেসক্লাবের চারবার সভাপতি এবং তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এবিএম মূসা একুশে পদকসহ দেশি-বিদেশি নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি জীবনের শেষ দিনগুলোতে দর্শকনন্দিত আলোচক ও সংবাদ বিশ্লেষক হিসেবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তিনি স্পষ্ট ভাষায় সমালোচনা করতেন।
এবিএম মূসার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার বাদ আসর, মোহাম্মদপুর, ৫/২ ইকবাল রোডে মরহুমের বাসভবনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মীয়-স্বজন সতীর্থ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/জেবি)