logo ১৪ জুলাই ২০২৫
গরমে আরাম কাপড়ে
তানজিলা প্রিমা
১৯ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:৩২:৪৮
image




বাড়ছে গরম। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার প্রখরতা। একদিকে ভ্যাপসা গরম, রোদের প্রচ- তাপ, তার মধ্যে বৃষ্টির ছোঁয়া। তারপরও কাটেনি গরমের প্রভাব। এ সময়ে কোথায় কখন কী ধরনের পোশাক পরবেন, সাজসজ্জার ক্ষেত্রে মেকআপ ভারী হবে, না হালকা এ প্রশ্নগুলো কিছুটা হলেও ভাবায়। হালকা রং, পাতলা কাপড়, আরামদায়ক। গরমে একটু আরাম পেতে হলে পোশাকের এই বিষয়গুলো বিবেচনায় থাকতে হবে। শীতকালে যেমন গরম পোশাক বা একটু মোটা কাপড় পরা হয়, আর গরম এলে তার উল্টোটা পরতে হয়। যেমন একটু ঢিলেঢালা আর পাতলা কাপড়। সব থেকে ভালো হয় যদি সুতির পোশাক পরা হয়। প্রচ- গরমে আপনাকে আরাম দেবে এই সুতির পোশাক।



কী পরবেন







পোশাকের ক্ষেত্রে ফ্যাশন যেমনই হোক না কেন কাপড়টি যেন পাতলা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফ্যাশনের সঙ্গে সঙ্গে যেন আরামটাও পুরোপুরি পাওয়া যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শিফন, সুতি, ক্রেপ, জর্জেট, সিল্ক, লিনেন, ভালো মানের নেটের তৈরি পোশাকগুলোতে আরাম পাওয়া যাবে বলে জানান ডিজাইনাররা। সুতির কাপড় সব থেকে আরামের হলেও সেটি সব জায়গার জন্য মানানসই নয়। শিফনের কাপড় এ ক্ষেত্রে হতে পারে আদর্শ বাছাই। এটি শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ সবকিছুতেই আভিজাত্য নিয়ে আসবে। মানিয়ে যাবে দিনে ও রাতে দুই সময়েই। শিফন খুব আকর্ষণীয় কাপড়, অনেক জমকালোভাবে ব্যবহার করা যায়। শিফন শাড়ির সঙ্গে অনেক ধরনের ব্লাউজই ব্যবহার করা যায়। কাপড়টা নরম হলেও সাজের ক্ষেত্রে একটা অভিজাত ভাব চলে আসবে তাহলে। হুটহাট বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও শিফন শুকিয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। তবে যাদের প্রতিনিয়ত দৌড়-ঝাঁপের মধ্যে থাকতে হয় তাদের জন্য জর্জেট কাপড় ব্যবহার করাই ভালো। জর্জেট কাপড়ের জামার নিচে পরার জন্য ক্রেপ কাপড়ের সেমিজ বানিয়ে নিতে পারেন। এতে ঠা-া একটা অনুভূতি থাকবে ও আরাম পাবেন।







অ্যান্ডি সিল্ক কাপড়টাও এ মৌসুমে পরার উপযোগী। এ ধরনের কাপড়ে সিল্কের ভাগটাই বেশি থাকে। তাই বেশ জমকালো দেখায়। দেশি ফ্যাশন হাউসগুলো এই কাপড় দিয়ে প্রচুর পোশাক তৈরি করছে। একটু ভারী কাজ করা অ্যান্ডি সিল্কের পোশাক নিশ্চিন্তে পরতে পারেন যেকোনো পার্টিতে। আবার সাদামাটা কাজের পোশাকগুলো পরা যাবে নিত্যদিনের ব্যবহারে। তৈরি পোশাক তো পাবেনই। সিল্কের কাপড়ের দোকানগুলোয় গজ হিসেবেও পাবেন। মসলিন কাপড়টাও এই সময়ে বেশ উপযোগী। অ্যান্ডি সিল্কের সালোয়ার-কামিজ আর মসলিনের ওড়না এই ঋতুতে এমন পোশাক বেশ কাজের। এ ছাড়া মসলিন শাড়িও পরতে পারেন।







ছেলেদের পোশাকে গরমে প্রিন্টেড বা চেক কাপড়ের শার্ট আরামদায়ক। কাপড়ের কনস্ট্রাকশনটা শতভাগ সুতি হলেই ভালো। আর ধরনটা হবে হাওয়াই। এ শার্টের সাইড ওপেন থাকে ও হাফ হাতার হয়। একটু ঢিলেঢালা শার্ট পরলে ঘামে কাপড় নষ্ট হবে না। হালকা রঙের কাপড় ব্যবহার করাই ভালো, যেমন সাদা, হালকা বেগুনি, প্রিন্টেড ফেব্রিক ও লাইট চেক। সাদার মধ্যে আবার আছে নানা ভিন্নতা।







এ তো গেল পোশাকের কথা। কিন্তু সাজ? এই গরমে পোশাকের পাশাপাশি চাই মানানসই সাজও। গরমে ভারী মেকআপ একদমই বেমানান। ঘাম, ধুলাবালিতে মেকআপ গলে একেবারে বাজে অবস্থা হয়। তাই মেকআপ করার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এ সময়ে লিকুইড ফাউন্ডেশন না দেওয়া ভালো। আর দিলেও অবশ্যই ওয়াটার বেইজড হতে হবে। সাজসজ্জার ক্ষেত্রে কানে মুক্তার ছোট দুল এবং গলায় সরু চেইনের সঙ্গে মুক্তার লকেট পরতে পারেন। তাছাড়া পাথরের টপ বা ছোট ঝুমকা পরতে পারেন। বড় দুল একদম এড়িয়ে চলুন। হাতে হালকা একটা ব্রেসলেট থাকতে পারে। পায়ে আংটি বা পায়েল থাকতে পারে। চুল উঁচু করে পনিটেলও করতে পারেন বা পাঞ্চক্লিপ দিয়েও আটকে রাখতে পারেন।



হালকা রং বেছে নিন







গরমের পোশাকটা হালকা ও আরামদায়ক হওয়াই ভালো। খেয়াল রাখতে হবে পোশাকটা যেন তাপশোষণ করে কম। তাই প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য সুতি কাপড়ই আরামদায়ক। গরমে চোখের আরাম বলেও একটা কথা আছে। সেদিক থেকে ভাবলে সাদা রঙই আদর্শ। তারপরও হালকা গোলাপি, জলপাই সবুজ, শ্যাওলা সবুজ, হালকা নীল, হালকা হলুদ, ঘিয়ে এসব রঙের হালকা শেড এবং টারশিয়ারি রংগুলোও গরমে উপযোগী।



দরদাম







সময়োপযোগী কাপড় বুটিক হাউসগুলো ঘুরে কিনতে পারেন। এছাড়াও আইডিয়া দিয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী পোশাকটা বানিয়ে নিতে পারেন। বাজারে গজ কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। আছে মসলিন, অ্যামব্রয়ডারি করা সুতি কাপড়, লেসলাগানো সুতি কাপড়, চিকেন কাপড়, ওয়াটার প্রিন্ট ইত্যাদি। নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনীচক, ইসলামপুর, মৌচাক, ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি, পিংক সিটি, মাসকট প্লাজা, নর্থটাওয়ার, রাইফেলস স্কয়ারে পাওয়া যাবে এসব কাপড়।- সাপ্তাহিক এই সময়-এর সৌজন্যে।