ঢাকা: প্রাকৃতিক নিয়মেই বয়স বাড়বে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বক স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা এবং নমনীয়তা হারাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি বয়সের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যায়, তখন কেমন হবে? শুনলে অবাক হবেন এমন পরিস্থিতিতে নামী-দামি ব্র্যান্ডের ক্রিম কিংবা লোশনের চেয়ে প্রাকৃতিক উপায় অনেক বেশি কার্যকরী। এই প্রাকৃতিক এবং সহজ প্রতিষেধকটি হলো ফল। পাঁচ ধরনের ফল রয়েছে, যা সহজেই ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
কমলা: ভিটামিন সি এর অফুরন্ত উৎস কমলা। কোলাজেন উৎপাদনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে ভিটামিন সি। বলিরেখা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে কমলা। বলিরেখা, ব্রন, পিম্পলস ইত্যাদি প্রতিরোধে মুখে লাগাতে পারেন কমলার রস। এছাড়া কমলার কোয়া নিয়ে মুখে ঘষলেও ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
আপেল: আপেলে বিদ্যমান পুষ্টিগুণের কারণে ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। আপেলে রয়েছে কপার এবং ভিটামিন সি। এই দুটিই ত্বকের জন্য উপকারি। এছাড়াও আপেলে আছে অনেক পুষ্টি উপাদান। ত্বকের জন্য উপকারি পটাসিয়ামও বিদ্যমান রয়েছে আপেলে।
পেঁপে: নানামুখী গুণের কারণে পেঁপেকে ফলের জগতের দেবদূত বলা হয়। এটি পুষ্টিকর এবং কিছু বিশেষ ধরনের এনজাইম বিদ্যমান। ওজন কমাতে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে পেঁপে। বয়স ধরে রেখে ত্বককে প্রাণবন্ত করে। আর যদি ত্বকে ছোপ ছোপ কালো দাগ পড়ে, তাহলে তো পেঁপের দ্বারস্থ না হয়ে উপায়ই নেই। কারণ পেঁপে শরীর থেকে টক্সিন বের করে পরিপাক প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
তরমুজ: তরমুজ শুধুমাত্র শরীরকে আর্দ্রই করে না, এটি লাইকোপিন, ভিটামিন সি এবং এ’ তে পরিপূর্ণ। যা ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। ভিটামিন এ আছে এমন ফল ত্বকের তেলতেলে ভাব কমিয়ে সজীবতা ফিরিয়ে আনে। তরমুজের টুকরো মুখে ঘষে ক্লিনজারের কাজও সেরে ফেলতে পারেন।
ডালিম: পিউনিক অ্যাসিড, অ্যালাজিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ডালিম খেলেও ত্বক উজ্জ্বল হয়। শুধু ত্বক ফর্সাই নয়, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই ফলটি ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্যে করে। এটি লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ায় এবং রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। ডালিমে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই ও গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার এবং শুষ্ক ত্বকের খসখসে ভাব প্রতিরোধী।
(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/জেএস)