শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলায় দুইজনের কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২০ এপ্রিল, ২০১৬ ১২:২২:৩০

ঢাকা: সিকিউরিটিজ প্রমোশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের (এসপিএম) শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুইজনের দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১৫ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনে শেয়ারবাজার সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ূন কবীর এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শেলী রহমান ও বিনিয়োগকারী সৈয়দ মহিবুর রহমান।
সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কাশেম সিল্কের ১ কোটি ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৫শ' শেয়ার লেনদেন হয়। এক্ষেত্রে শেয়ারের দাম ছিল ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। এই লেনদেন এবং দর বৃদ্ধি ছিল অস্বাভাবিক। এর মধ্যে সিকিউরিটিজ হাউসটি কাশেম সিল্কের ৩৮ লাখ ৫ হাজার ৮০০টি শেয়ার ক্রয় করে, যা ছিল প্রতিষ্ঠানটির ওই দিনের লেনদেনকৃত শেয়ারের ৩৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
একইদিন বিকালে ৩৬ লাখ ৮৫ হাজার ১০০টি শেয়ার বিক্রয় করে। আর যা ছিল ওই দিনের বিক্রিকৃত শেয়ারের ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। এক্ষেত্রে মো. মহিবুর রহমান নামের ওই বিনিয়োগকারী ২৪ দশমিক ২৭ টাকা দরে ৩৫ লাখ ১৬ হাজার ৩০০টি শেয়ার কেনেন। পরে ২৫ দশমিক ৯০ টাকা দরে ৩৪ লাখ ২৪ হাজার শেয়ার বিক্রি করেন। তিনি দুপুর ১২টা থেকে ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত সময়ে টানা ২২ লাখ ৫৮ হাজার শেয়ার কেনেন। বিকালে তিনি ১২ লাখ ৫৮ হাজার ৩০০টি শেয়ার ক্রয় করেন। এক্ষেত্রে শেয়ারের দাম ছিল ২১ দশমিক ৫০ টাকা দিয়ে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৯০ টাকা।
লেনদেন নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিক্রেতারা সৈয়দ মহিবুর রহমানের কাছ থেকে শেয়ার পুনরায় কিনে নিতে বাধ্য হন। এতে মহিবুর রহমান ২৬ টাকা করে বিক্রয় শুরু করেন। এ প্রক্রিয়ায় মাত্র ৩৪ লাখ ২৪ হাজার শেয়ার বিক্রি করেই মহিবুর রহমান ৩৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা মুনাফা করেন। এরপর তার হাতে থেকে যায় ৯২ হাজার ৩০০ শেয়ার। যার পুরোটাই মুনাফা। আর সিকিউরিটিজ আইনে যা বড় ধরনের জালিয়াতি।
সূত্র আরও জানায়, মহিবুর রহমান বিও অ্যাকাউন্টে ২৫ লাখ টাকা প্রাথমিক জমা ছিল। এই টাকাও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শেলী রহমানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তার স্বামী লুৎফর রহমানের হাত হয়ে চেকের মাধ্যমে নেয়া হয়। তবে এই টাকা শেষ পর্যন্ত অ্যাকাউন্টেই জমা ছিল। এর বাইরে মহিবুর রহমান বিদেশ থেকে ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা রেমিটেন্স হিসেবে নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় ২০০৪ সালে বিএসইসির তৎকালীন সদস্য মোহাম্মদ আলী খান ও পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গত ১২এপ্রিল মামলার যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। মামলার দুই আসামিই পলাতক রয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মাসুদ রানা খান।
(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/এমআর)