ঢাকা: মানুষসহ সবারই জৈবিক চাহিদা রয়েছে।আর এই চাহিদা একেক প্রাণী একেকভাবে মিটিয়ে থাকে।মাকড়সাও তার ব্যতিক্রম নয়। সম্প্রতি প্রাণী বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ গবেষণায় বিষয়টি বের হয়ে এসেছে।তাদের সঙ্গমের দৃশ্য ভিডিও করা হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, মাকড়সা প্রজননের সময় দীর্ঘক্ষণ সঙ্গমে মিলিত হয়।শুধু তাই নয় তারা ওরাল সেক্সেও অংশগ্রহণ করে বেশ আগ্রহ নিয়ে।তবে তারা একেবারে লেপ্টে থাকে না। সঙ্গমের সময় তারা যৌনাঙ্গহানি বা যৌনাঙ্গ ভক্ষণ করে। মাকড়সাদের মধ্যে ‘সমৃদ্ধ যৌন রিপারটয়েয়ার’ রয়েছে।
স্লোভেনিয়ার গবেষকরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় মাকড়সার সঙ্গমের এই দৃশ্য অবলোকন করেন। মাদাগাস্কার দ্বীপে পুরুষ ডারউইন বার্ক মাকড়সার সঙ্গে স্ত্রী মাকড়সার যৌন আচরণের দৃশ্য ধারণ করা হয়। মাকড়সাদের এই যৌন আচরণটি এক সেশনে ১০০ বার পর্যন্ত করে । নারী মাকড়সা পুরুষ মাকড়সার চেয়ে গড়ে ১৪ গুণ বেশি ভারী। প্রায় ২.৩ গুণ বড়।
স্লোভেনিয়ার বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের কর্মকর্তা এবং গবেষণার জ্যেষ্ঠ লেখক মাতিজাজ কুন্টার সম্প্রতি এই প্রজাতিটি শনাক্ত করেন।গবেষকরা মাকড়সাদের সঙ্গম আচরণ নিয়ে গবেষণার সময় যৌনাঙ্গ লেহনের দৃশ্যাবলীও তারা অবলোকন করেন।তবে এতে তারা অবাক হননি। তবে ওরাল সেক্সের বিষয়টিতে তারা অবাক হয়েছে। এসময় পুরুষ মাকড়সা নিয়মিত নারী মাকড়সার যোনি মুখে লালা নির্গত করে।
স্লোভেনিয়া বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের সহযোগী গবেষক মাজেজ গ্রেগরিক বলেন, মনে হচ্ছে, এই প্রজাতির মধ্যে ওরাল সেক্সের ব্যাপারটি অপরিহার্য বা বাধ্যতামূলক। প্রত্যেকটি পুরুষ মাকড়সাই সঙ্গমের সময় বা পরে ১০০ বার পর্যন্ত এই কাজটি করে।
গবেষকদের মতে, প্রাণিদের মধ্যে ওরাল সেক্সের বিষয়টি তেমন প্রচলিত নয়। কিছু স্তন্যপায়ীর মধ্যে এই ব্যাপারটি লক্ষ্য করা যায়। বাঁদর, লেমুর( মাদাগাস্কার দ্বীপের একজাতীয় ছুঁচালো মুখযুক্ত নিশাচর বানর), শিম্পাঞ্জি, হায়েনা, চিতাবাঘ, সিংহ, ডলফিন এবং বাদুড়ের মধ্যে ওরাল সেক্সের বিষয়টি দেখা যায়। সূত্র: ডেইলি মেইল অনলাইন।