ঢাকা: সকলেই চান জীবনকে উপভোগ করতে। এজন্য স্ট্রেসমুক্ত, সুস্থ এবং ইতিবাচক থাকতে হবে। কিন্তু, সব কিছু করেও যেন ঠিক মনের মতো করে জীবনকে গড়ে তুলতে পারি না আমরা। জীবেনকে উপভোগ্য করে গড়ে তুলতে রইল একগুচ্ছ টিপস-
সম্পর্ক: নিজের কাছের মানুষদের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক রাখুন। যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছে অথচ আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ সেই সব সম্পর্কে ক্ষমা করে দিন বা নিজে ক্ষমা চেয়ে নিন।
বাইরে সময় কাটান: কাজের বাইরে সব সময় নিজেকে বাড়ির গণ্ডির মধ্যে আটকে রাখবেন না। বাইরে বেরোন, মেলা মেশা করুন।
ব্যায়াম: প্রতি দিন ব্যায়াম করলে মুড ভাল থাকে, শরীর ঝরঝরে থাকে। অনেক ইতিবাচক থাকতে পারবেন। ব্যায়াম না করলেও নিজেকে সক্রিয়া রাখুন।
জাঙ্ক ফুড: জীবন সুন্দর করতে স্বাস্থ্য ভাল রাখা জরুরি। জাঙ্ক, প্রক্রিয়াজাত করা খাবার জীবন থেকে বাদ দিন।
ধূমপান: জীবনের সবচেয়ে ক্ষতিকারক অভ্যাস। শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যের না, মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে ধূমপান। এই অভ্যাস থাকলে অবশ্যই ছেড়ে দিন।
সঞ্চয়: জীবন উপভোগ করতে গিয়ে সঞ্চয়ের কথা ভুলে যাবেন না। অল্প অল্প করে হলেও নিয়মিত সঞ্চয় করুন। এতে এক সময় জীবন যেমন আরামদায়ক হবে, তেমনই আপনার আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।
বর্তমান: অতীত নিয়ে পড়ে না থেকে বা ভবিষ্যত নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করে বর্তমানকে উপভোগ করুন।
মেডিটেশন: মেডিটেশন করলে জীবনে মুহূর্তগুলো অনুভব করতে পারবেন।
লক্ষ্য: জীবনে কোনও লক্ষ্য না থাকলে কোনও দিনই জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে না। ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করুন। সেগুলো পূরণ হলে তৃপ্তি আসবে জীবনে।
ঘুম: কাজের চাপে বা পার্টি করতে গিয়ে ঘুমকে কখনই অবহেলা করবেন না। সুস্থ শরীরের চাবিকাঠি কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুম। আর সুস্থ শরীরই জীবনকে করে তোলে সুন্দর।
দাঁত: সুস্থ থাকার জন্য কিন্তু দাঁতের স্বাস্থ্য খুবই জরুরি। সু্ন্দর, স্বাস্থ্যজ্জ্বোল হাসি কিন্তু আপনার চারপাশের পরিবেশটাই পাল্টে দিতে পারে।
স্মৃতি: জীবনে জিনিসপত্র কিনে অর্থ খরচ না করে এমন কিছুর জন্য খরচ করুন যা আপনার জীবনে সুখ স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে। বিলাস-ব্যসনের জিনিসের পিছনে খরচ না করে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে যেতে পারেন।
সার্ভিস: শুধু নিজেকে নিয়েই ভাববেন না। অন্যদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন। যাদের সত্যিই সাহায্যের প্রয়োজন তাদের সাহায্য করলে আপনার জীবনও সুন্দর হয়ে উঠবে।
ভয় কাটান: যেই সব কাজ এত দিন এড়িয়ে চলেছেন, ভয় পেয়েছেন, অজুহাত দিয়েছেন এখন এগিয়ে এসে সেই সব কিছু করার চেষ্টা করুন। দেখবেন একেকটা ভয় যখন কাটিয়ে উঠবেন পাহাড়ের এক একটা চূড়া জয় করার অনুভূতি হবে।
পড়াশোনা: টিভি, সিনেমা, সোশ্যাল মিডিয়ার পিছনে সময় ব্যয় না করে অবসর সময়ে বই পড়ে সময় কাটান। এতে অবসর যাপন যেমন হবে, আপনার জ্ঞানও বাড়বে।
ভ্রমণ: বেড়াতে গেলে, ঘুরে বেড়ালে নতুন নতুন জায়গা চিনলে, জানলে মন ভাল থাক। নতুন জায়গায় গিয়ে নিজেকেও নতুন ভাবে আবিষ্কার করতে পারবেন।
নিজেকে ভালবাসুন: সব সময় অন্যদের খুশি করার কথা, অন্যদের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার কথা না ভেবে নিজেকে ভালবাসুন, নিজেকে বুঝুন।
জার্নাল: নিজের জীবনের একটা জার্নাল তৈরি করুন। প্রতি দিন কী কী করছেন, কী কী আপনার সঙ্গে ভাল ঘটছে লিখে রাখুন। খারাপ সময়ে এগুলোই আপনাকে উদ্বুদ্ধ করবে।
অপ্রয়োজনীয়: জীবন থেকে অপ্রয়োজনীয় যা কিছু রয়েছে তা বাদ দিন। ঘর থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিন, অপ্রয়োজনীয় অভ্যাস ত্যাগ করুন। জীবন গুছিয়ে নিন।
বন্ধুদের খেয়াল রাখুন: ভাল বন্ধু জীবন সুন্দর করে তোলে। নিজের কাছের বন্ধুদের খেয়াল রাখুন।
বাগান করুন: বাড়িতে সুন্দর বাগান করুন। সবুজ গাছ, সুন্দর রঙিন ফুল আপনাকে অবসাদ কাটাতে সাহায্য করবে। বাড়িতে অক্সিজেন বাড়লে শরীরও সুস্থ থাকবে।
(ঢাকাটাইমস/২মে/জেএস)