ঢাকা: উৎসব যখন ঈদ, তখন মিষ্টি মুখ না হলে কী চলে। ঈদের দিন প্রায় সব বাড়িতেই কম-বেশি মিষ্টি খাবারের আয়োজন থাকে। হাতে আছে মাত্র সপ্তাহখানেক সময়, এর মধ্যেই সেরে নিতে হবে রান্নার পরিকল্পনা।
দুধ-সেমাই
উপকরণ: সেমাই ১ প্যাকেট। দুধ ১ কাপ। পানি ৩ কাপ। ঘি সিকি কাপ। এলাচ ৪-৫টি। কিশমিশ ২০টির মতো। চিনি ১ কাপ।
পদ্ধতি: প্রথমেই ঘি দিয়ে সেমাই ভেজে নিন। এবার দুধ, পানি, চিনি, এলাচ, কিশমিশ দিয়ে ৩০ মিনিট চুলায় দমে রাখুন। তারপর সেমাই পাত্রে নিয়ে চেরি দিয়ে পরিবেশন করুন। ঈদের খাবার তালিকায় অত্যাবশকীয় দুধ-সেমাই।
ক্ষীর-খোরমা
উপকরণ: দুধ ৫ কাপ। পানি ১৩ কাপ। সাগু ২ টেবিল-চামচ। সেমাই ৩ টেবিল-চামচ। চিনি ২ কাপ। কিশমিশ আধা কাপ। জর্দার রং পরিমাণমতো। কাঠবাদাম আধা কাপ। পেস্তা-বাদাম কুচি আধা কাপ। খোরমা কুচি আধা কাপ। কেওড়ার জল ২ টেবিল-চামচ। জাফরান আধা চা-চামচ।
পদ্ধতি: একটি সসপ্যানে ১৩ কাপ পানির মধ্যে ৫ কাপ গুঁড়ো দুধ দিয়ে কিছুক্ষণ দমে রাখুন। এবার সেমাই একটু ভেজে বাদামি রং হলে তাতে ১ টেবিল-চামচ ঘি দিন। গরম পানিতে সাগু ধুয়ে নেবেন। খোরমা ২-৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এরপর দুধে চিনি দিয়ে যখন গলে যাবে, তখন সেমাই, সাগু, খোরমা কুচি, পেস্তা-বাদাম কুচি, কাঠবাদাম কুচি দিয়ে আবার মাঝারি আঁচে দমে রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন।
কাস্টার্ড
উপকরণ: পাকা পেঁপে, আম, বেদানা, কলা, আপেল কিউব ৪ কাপ। ঘন দুধ ২ কাপ। ক্রিস্টাল জেলো আধা কাপ। ক্রিম ২ টেবিল চামচ। চিনি দেড় কাপ। আপেল কুচি ২ কাপ। কাস্টার্ড পাউডার ৪ চামচ।
পদ্ধতি: ক্রিস্টাল জেলো গরম পানি দিয়ে গুলে ফ্রিজে আধা ঘণ্টা রাখুন। ফলগুলো কিউব করে কেটে লেবুর রস ও চিনি দিয়ে মেখে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। এবার ঘন দুধ, চিনি, কাস্টার্ড পাউডার জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। এখন এতে কর্নফ্লাওয়ার মিশ্রণটি মিশিয়ে আরও ৩-৪ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করে নেওয়ার পর প্রয়োজনীয় সব ফল উপরে দিয়ে ঠাণ্ডা-ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন মজাদার কাস্টার্ড।
ফিরনি
উপকরণ: চাল ১ কাপ। চিনি ১ কাপ। দুধ ১ কাপ। পানি ৪ কাপ। জর্দার রং সামান্য পরিমাণ। কেওড়ার জল ১ চা-চামচ। কিশমিশ সিকি কাপ।
পদ্ধতি: চাল, দুধ ও পানি এক সঙ্গে ৩০ মিনিট দমে রাখুন। জর্দার রং ও চিনি মিশিয়ে আরও ৩০ মিনিট দমে রাখতে হবে। সবশেষে বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো ডেকোরেশন করে পরিবেশন করুন।
(ঢাকাটাইমস/২৯জুন/জেএস)