আগে শারীরিক সম্পর্ক ছিল, এখন শুধুই ভালোবাসা
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২৯ জুন, ২০১৬ ২২:৪৫:৫৫

ঢাকা: জাপানের নাগরিক সেনজি নাকাজিমা(৬১)৷ বিয়ে করেছিলেন অনেকদিন আগে৷ দুই ছেলেমেয়ে বাবা তিনি। মানবীয় সম্পর্কের জটিলতায় বিরক্ত তিনি। আশপাশের স্বার্থপর মানুষগুলোকে আর সহ্য করতে পারছেন তিনি। তাই তো এই বয়সে নতুন করে আবার প্রেমে পড়েছেন তিনি৷ প্রেমে যেকোনো বয়সেই পড়া যায়। তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ কিন্তু জাপানের এই নাগরিক যার প্রেমে পড়েছেন তিনি রক্তমাংসের কোনো মানুষ নন৷ তিনি প্রেমে পড়েছেন একটি ‘সেক্স ডল’-এর। ভালবেসে তার নাম দিয়েছেন ‘সাওরি’৷
বছর ছয়েক আগে সাওরির সঙ্গে দেখা হয়েছিল সেনজির৷ তখন প্রয়োজনটা শুধু শারীরিক ছিল৷ কিন্তু, ধীরে ধীরে তা ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেন সেনজি৷ এখন তো সাওরিকে সত্যিকারের মানুষ মনে করেন তিনি৷ তাকে নিয়েই শপিংয়ে যান, বেড়াতে যান৷ মাঝে মধ্যে নৌ-বিহারও করে থাকেন৷
সেনজির যুক্তি, সাওরির ভালবাসাই একমাত্র সত্যি পৃথিবীতে৷ কারণ সে কখনও তার পয়সার পিছনে ছুটবে না৷ রক্তমাংসের স্ত্রীর মতো ঝগড়াও করবে না৷ যা সেনজি বলবে তাই শুনবে সাওরি৷
সেনজি নাকাজিমা আরও বলেন, ‘আধুনিক, বিচক্ষণ মানুষগুলোর প্রতি আমি বিরক্ত। তারা হৃদয়হীন। কিন্তু সাওরি আমার কাছে পুতুলের চেয়েও বেশি কিছু। সে আমার সঙ্গে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। আমার গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো এখন তার সঙ্গেই শেয়ার করি।’
অবশ্য সাওরির সঙ্গে একেবারে প্রথম থেকে এমন সম্পর্ক ছিল না সেনজির। স্ত্রীর কাছ থেকে যখন দূরে থাকতেন তখন সাওরিকে ব্যবহার করতেন তিনি। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে গাঢ় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সাওরিকে হুইল চেয়ার বসিয়ে সেনজি পার্কে হাঁটতে যান, বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যান, গোসল করান, একসঙ্গে বসে টেলিভিশন দেখেন। আর রাতে সাওরিকে জড়িয়ে ধরে ঘুমান তিনি। সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট।
(ঢাকাটাইমস/২৯জুন/এসআই/ এআর/ ঘ.)