logo ২১ এপ্রিল ২০২৫
আখ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন কৃষকরা
মানিক হোসেন, ঢাকাটাইমস
১৩ আগস্ট, ২০১৬ ১১:৩১:৫৮
image




দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় আখ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন অনেক কৃষক। যে আখ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে আখের গুড় তৈরিতে চিনি কল গুলোতে পাঠানো হতো। এখন শুধু মাত্র নিজেদের খাওয়ার জন্য আখ চাষ করা হয় না বলেই জানিয়েছেন অনেক আখ চাষি। চিরিরবন্দর উপজেলায় আখ মিষ্টি ও সুস্বাধু হওয়ায় চাহিদাও ছিল বেশি।



এক সময় চিরিরবন্দরে উল্লেযোগ্য স্থান যেমন- সাতনালা, ইসবপুর, সাইতীড়া ও ফতেজাংপুর ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে চলছে ইছামতি নদী, যার ভরা বর্ষা মৌসুমেও পর্যাপ্ত পানি না থাকলে সেই নদীর প্রায় সব এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ আখ চাষ করা হতো। কিন্তু বর্তমানে আখচাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে অনেক কৃষক। এতে আশঙ্কাজনকহারে আখ চাষের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। যাও আখ চাষ হয়, তা উপজেলার চাহিদা মিটানো সম্ভব হচ্ছে না অন্য উপজেলার ব্যবসায়ীরা চড়া দামে কিনে নিয়ে যায়।



একজন কৃষক জানান, ৩-৪ বছর আগে চিরিরবন্দর উপজেলার চোখে পড়ার মতো জমিতে আখ চাষ হতো। চলতি বছরে আখ চাষ নেই বললেই চলে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ এলাকায় আখ চাষ পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।



কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিকেজি আখের গুড় ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং প্রতিটি আখ ৩০ টাকায় বিক্রি হবে বলে তারা জানান। অথচ বিগত বছরগুলোতে আখ ও আখের গুড়ের দাম অনেক কম ছিল। ফলে আখ চাষ করে কৃষকদের খরচের টাকাও উঠত না। বাধ্য হয়ে কৃষকরা আখ চাষ বাদ দিয়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে শ্রমিকের উচ্চ মুজরির কারণে, কৃষকরা অন্য ফসলের চাষে ঝুঁকে পড়ায় আখ চাষ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বলে জানান চাষিরা।



এদিকে একজন দিনমজুর জানান, তিন বছর আগে চিরিরবন্দরে আখের আবাদ বেশ ভালোই ছিল। আমি আখের গাড়িতে আখ উঠা-নামা করতাম, উপজেলার ঘাটেরপাড় ও ওকরাবাড়ীতে আখ কেনা-বেচায় আমার মতো অনেক দিনমজুরের সংসার চলত।



অন্যদিকে চিরিরবন্দর হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একটি বাজারে একজন আখ বিক্রেতা, কোথাও আবার একজন বিক্রেতাও নেই, প্রতিটি আখ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে।



একজন আখ ক্রেতা মো. জসিম উদ্দিন জানান, ৩ বছর আগে একটি আখের মূল্য ছিল ১০ থেকে ১৫ টাকা এখন না নিতে হচ্ছে ৩০ টাকায়।



(ঢাকাটাইমস/১৩ আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)