২৮ আগস্ট জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২০ আগস্ট, ২০১৬ ১৩:১০:৩৬

তেল বিক্রির কমিশন ও ট্যাংক লরির ভাড়া বাড়ানোসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সরকারের কাছে ১২ দফা দাবি পেশ করেছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক পরিষদ। ২৮ আগস্টের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ওইদিন সকাল ছয়টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত দেশব্যাপী জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটির নেতারা।
শনিবার দুপুরে কাকরাইলের রাজমনি ঈসা খাঁ হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল হক এই ঘোষণা দেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২০১১ সালের ১৯ মে সারা দেশে পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংক লরিতে কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করলে তরা তিনি মাসের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু তিন মাসের জায়গায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পার হলেও সমস্যা সমাধান তো দূরের কথা উল্টো নিত্য নতুন সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে জ্বালানি সেক্টরে মালিক-শ্রমিকদের টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ২৮ আগস্টের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ওইদিন সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করবে তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো- সওজ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল ‘অস্বাভাবিক’ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করা, শ্রম মন্ত্রণালয়ের ২০০৮ সালের ১০ জুনের এস আরও নং-১৪১ বাতিল করে ট্যাংকলরিকে পৃথক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নতুন এরআরও জারি করা, বাস্তবতার নিরিখে তেল বিক্রির কমিশন ও ট্যাংক লরির ভাড়া বৃদ্ধি করা, ট্যাংকলরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকার দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন, অপারেশন লস, ইভাপোরেশন লস এবং বিএসটিআই টলারেন্স মাত্রা যৌক্তিক হারে নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা করে তা পুনঃনির্ধারণ করা, ফেরী ঘাটে ট্যাংক লরিকে পারাপারে অগ্রাধিকার দেয়া, ভেজাল রোধে বেসরকারি রিফাইনারি কর্তৃক তেল বিক্রি বন্ধ করা, সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিদ্যমান ট্যাংক লরি টার্মিনাল সংস্কার ও প্রয়োজনীয় স্থানে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করা, পেট্রোল পাম্প স্থাপনের নীতিমালা পুনর্বিন্যাস করা, ট্যাংকলরি চলাচলে পুলিশী হয়রানি বন্ধ করা, পেট্রোল পাম্প পরিদর্শনকালীন বিপিসি এবং সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, বিএসটিআইয়ের টলারেন্স মাত্রার হার যাচাইপূর্বক পুনঃনির্ধারণ না করা পর্যন্ত কার্যক্রম স্থগিত রাখা।
এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হক বলেন, আমরা আশা করি সরকার আমাদের কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য করবেন না। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সদস্যার সমাধান করবে। অন্যথায় আমরা লাগাতার কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত ছিলেন- আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব আকতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহজাহান, মিজানুর রহমান রতন প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/এইচআর/বিইউ/এমআর)