logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
পাঁচ দিনে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছে ৯৮ ট্যানারি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২২ আগস্ট, ২০১৬ ১৪:২৭:০৮
image



রাজধানীর হাজারীবাগে থেকে যাওয়া ট্যানারিগুলো ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা জমা দিয়েছে। চলতি মাসের ১১ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের শিল্পভবনের করপোরেট শাখায় এ টাকা জমা হয়েছে। টাকা জমা হওয়ার বিষয়টি আদালতকে প্রতিবেদন আকারে জানিয়েছেন শিল্পসচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়া। আজ সোমবার রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 






গত ১৮ জুলাই ১৫৪ ট্যানারি কারখানাকে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেয় আপিল বিভাগ। জরিমানার টাকার বিষয়টির প্রতিবেদন আদালতে দাখিল না করায় গত ৯ আগস্ট শিল্পসচিবকে আইনি নোটিশ (লিগ্যাল নোটিশ) রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অর্থ পরিশোধ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে অ্যাভিডেভিট করে রিটকারী আইনজীবী অবহিত করার অনুরোধ করা হয়। তা না হলে সচিবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। ওই নোটিশের জবাব হিসেবে শিল্প সচিবের পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।






এর আগে গত ১৬ জুন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ১৫৪টি ট্যানারি কারখানাকে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে। জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলেছিল আদালত। শিল্প সচিবকে এ বিষয়ে তদারকি করতে নির্দেশ দেয় আদালত।






এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০১ সালে ট্যানারি শিল্প হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুরির মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প অন্যত্র সরিয়ে নিতে ২০০৯ সালের ২৩ জুন হাইকোর্ট ফের নির্দেশ দেন। সরকারপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে ওই সময়সীমা কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও স্থানান্তর না হওয়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আদালত অবমাননার মামলা করেন মনজিল মোরসেদ।






এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে গত বছরের ২১ এপ্রিল আদালতের তলবে হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন শিল্পসচিব। এরপরও ওই দশ প্রতিষ্ঠান হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তরের পদক্ষেপ না নেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ফের আদালত অবমাননার অভিযোগে আরও একটি আবেদন করেন মনজিল মোরসেদ। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১১ আগস্ট হাইকোর্ট দশ কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। এ রুলের পর দশ মালিককে তলব করে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে ২১ মার্চ আবেদন করেন মনজিল মোরসেদ। ২৩ মার্চ এ আবেদনের শুনানি শেষে ব্যাখ্যা দিতে আদালত ১০ মালিককে ১০ এপ্রিল তলব করেন। হাজিরা দিতে আসার পর ব্যাখ্যা না দেয়ায় তিন মালিককে কোর্ট তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করার আদেশ দেন হাইকোর্ট। পরে কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক তাদেরকে কোর্ট পুলিশের কাছে রাখেন। ওই দিনই তারা আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ট্যানারি সরানোর বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার শর্তে আদালতের নির্দেশে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।






(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এমএবি/জেবি)