logo ০৩ জুলাই ২০২৫
ময়মনসিংহে ছনের চালের মাটির ঘর
মনোনেশ দাস, ঢাকাটাইমস
২৫ আগস্ট, ২০১৬ ১১:৩২:২৫
image




ময়মনসিংহে জয়েনশাহী পাহাড় বা রসুলপুর বনের পাদদেশজুড়ে যে জনবসতি গড়ে উঠেছিল, সেসব অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি ছিল লাল মাটির টিলা- যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘টেঙ্গর’ বলা হয়।



টেঙ্গরের লাল মাটি গৃহনির্মাণে উপযোগী বলে ওই অঞ্চলের সব বাড়ি-ঘর নির্মাণ করা হতো লাল মাটিতে। বনে পাওয়া যেতো প্রচুর ছন, যা দিয়ে ছাউনি দেওয়া (ছাওয়া) হতো এই মাটির ঘরের।



প্রখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা তার সফরনামায় এই অঞ্চলের ঘরবাড়ির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এখানকার অধিবাসীরা বাস করেন মাটির ঘরে। এখনও শতকরা ২৫ ভাগ বাড়িঘর মাটির তৈরি।’



কালের পরিবর্তনে জয়েরশাহী গড় বনশূন্য হয়ে পড়েছে। এখন আর পর্যাপ্ত ছনও জন্মে না। তেমনি পাশের টিলা অঞ্চল কৃষির প্রয়োজনে কেটে সমতল করা হয়েছে। ফলে পর্যাপ্ত লাল মাটি এখন আর পাওয়া যায় না। তাই ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে মাটির তৈরি ঘর।



এই অঞ্চলে গৃহনির্মাণের প্রাচীনতম মাধ্যম হিসেবে লাল মাটি আর ছনের ব্যবহার আবহমানকালের বলে মাটির তৈরি ছনের ঘর ঐতিহ্যের দাবি রাখে।



এই ঐতিহ্যের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আদিম আবাসন রীতির নানাবিধ প্রকৃতিক সুবিধা, যা ইট বা টিনের তৈরি আবাসনের চাইতে অবশ্যই উত্তম। মাটির তৈরি গৃহনির্মাণের কারিগর যারা র্দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন তারা নতুন গৃহনির্মাণ না হওয়ায় যেমনি নিরুৎসাহিত হচ্ছেন, তেমনি নতুন কারিগরও গড়ে উঠছে না।



ফলে মাটির তৈরি বাড়িঘর ক্রমেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ এলাকায় লাল মাটির তৈরি ছনের ঘর টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন উদ্যোগ।



(ঢাকাটাইমস/২৫ আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)