logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
‘সেশনজটের সমাধান হয়েছে এবার লক্ষ্য শিক্ষার মান’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৪:০০:২৬
image



জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ভয়াবহ সেশনজট থেকে মুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর- রশিদ। তিনি বলেছেন ২০১৮ সালের পর থেকে সেশনজট বলতে কোনো শব্দ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে না।






বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘অন-ক্যাম্পাস পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স প্রোগ্রাম ২০১৬-২০১৭’ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।






উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টির দায়িত্ব নেয়ার পর আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ‘সেশনজট’ মুক্ত করা। সেটি আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করেছি। এবার শিক্ষার মান নিশ্চিতের পালা। শিক্ষার মান নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জও সফলভাবে মোকাবেলা করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না’।






হারুন-অর-রশিদ বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নেয়। এতো সংখ্যক শিক্ষার্থী যখন মানসম্পন্ন শিক্ষা নিয়ে দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করবে তখন দেশের উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ হবে।






নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগ এক সময় অবহেলিত ছিল। কিন্তু বিশ্বায়নের এই যুগে বিভাগটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বিশ্বব্যাপী বহুল চাহিদাসম্পন্ন বিভাগে পরিণত হয়েছে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আধুনিক জ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার যথেষ্ট সুযোগ দেশে রয়েছে। তাই এই বিভাগ থেকে এমনভাবে শিক্ষা নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যেতে হবে যেন মানুষ বলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিলে তাদের সাক্ষাৎকার নিতে হয় না। যদি এই ‘ইমপ্রেসন’ তৈরি করা যায় তাহলেই আমার উদ্যোগ সফল ও স্বার্থ হবে।






আজ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স প্রোগ্রামে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে নতুন ব্যাচের যাত্রা শুরু হয়। ১০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিভাগটি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত এসব শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে এক বছর মেয়াদী এ পেশাদার কোর্সে ভর্তি হয়েছে।






উপাচার্য তাদের সার্বিক সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘বর্তমান যুগে গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম। এ বিষয়ে ডিগ্রিধারীরাই হবে জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনের আসল কারিগর। কেবল সনদপ্রাপ্তি নয়, দেশের উৎকর্ষ সাধনের মানসিকতা নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। এ বিশেষ কোর্স দেশের প্রচুর সংখ্যক তথ্যবিজ্ঞানীর চাহিদা পূরণে অবদান রাখবে।’






অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আসলাম ভূঁইয়া, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু ও ডিন স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।






অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনগণ, শিক্ষকবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন।






উল্লেখ্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সময়ে অনার্স কোর্স সম্পন্ন করতে শিক্ষার্থীদের সাত থেকে আট বছর সময় লেগে যেত। কিন্তু অধ্যাপক হারুনুর রশীদ বিশ্ববিদ্যালয়টির দায়িত্ব নেয়ার পর সেশনজট নিরসনে বিশেষ ক্রাস প্রোগ্রাম হাতে নেন। এই প্রোগ্রাম হাতে নেয়ার কারণেই এই বিশ্ববিদ্যায় প্রায় সেশনজট মুক্ত হয়েছে।






(ঢাকাটাইমস/১সেপ্টেম্বর/এমএম/এমআর)