দলের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে এক নেতার এক পদ নীতি গ্রহণের পর ঠাঁকুরগাও জেলা বিএনপির সভাপতির পদ ছেড়ে গিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কেন্দ্রীয় পদ রেখে জেলার পদ ছেড়েছেন আরও বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। তবে মানিকগঞ্জের বেশিরভাগ নেতাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি ধরে রেখেছেন জেলার পদও।
গত আগস্টে বিএনপির ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে মানিকগঞ্জ বিএনপির চার জন স্থান পেয়েছেন। এদের দুইজন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কমিটিতে এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য হয়েছেন বাকি দুই জন। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কেবল একজন একটি পদ ছাড়ার বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিঠি দিয়েছেন।
মানিকগঞ্জ বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম খান শান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। আর নির্বাহী কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন মানিকগঞ্জ বিএনপির সহসভাপতি খন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ কবির জিন্নাহ।
এদের মধ্যে জেলা সভাপতির পদে থাকতেই পছন্দ করছেন আফরোজা খান রিতা। গত রোববার চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে খালেদা জিয়ার কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
তিনি ছাড়া অন্য তিন নেতা কেন দুটি পদই ধরে রেখেছেন, জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল হামিদ ডাবলু বলেন, ‘জেলা সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হন। আমিও সেই হিসাবেই নির্বাহী কমিটির সদস্য হয়েছি। তাই জেলার পদ ছাড়তে চাইছি না।’
বিএনপির এক নেতার এক পদ নীতি না মেনে দুটি পদই ধরে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপরসনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও মানিকগঞ্জ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম খান শান্ত বলেন, ‘একটি পদ ছাড়ার বিষয়ে জেলা কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।’
মানিকগঞ্জ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ কবীর জিন্নাহ দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যদের জেলার পদ ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে তাদের কোন নির্দেশনা পাননি তিনি।
এই নেতারা দুটি পদই ধরে রাখায় মানিকগঞ্জ বিএনপিতে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা বলেছেন, যারা কেন্দ্রীয় ভাবে পদ পেয়েছেন জেলার রাজনৈতির সাথে তাদের কোন সর্ম্পক নেই। এদের কারণে জেলার রাজনীতির ক্ষতি হচ্ছে। তারা জেলায় থাকেনও না। বিএনপি চেয়ারপারসনকে এসব নেতাদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবিও জানিয়েছেন নেতারা।
গত ১৯ মার্চে বিএনপির জাতীয় সম্মেলনে ‘এক নেতার এক পদ’ এই নীতি কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। এই কাউন্সিলের পর দলের মহাসচিব হয়ে প্রথমে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতির পদ ছেড়ে দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঢাকাটাইমস/২সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি