logo ০১ আগস্ট ২০২৫
যৌন নির্যাতন, সেই শিক্ষকের চার্জগঠনের শুনানি ২৮ সেপ্টেম্বর
আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৫:৫৪:১৮
image




বেসরকারি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতনকারী শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি শুরু হচ্ছে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর।



ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই বিচার হচ্ছে।



আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে প্রথম শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন বিচারক মোহাম্মাদ সফিউল আজম আসামির বিরুদ্ধে দাখিলকৃত চার্জশিট গ্রহণ করে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর চার্জগঠনের শুনানির ওই দিন ঠিক করেন। শুনানিকালে কারাগারে থাকা মাহফুজুর রশিদকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।



এর আগে গত ৩০ জুলাই নারী সাহায়তা ও তদন্ত বিভাগে কর্মরত পুলিশের এসআই আফরোজ আইরিন কলি আসামি মাহফুজুর রশিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।



২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমর আইনের ৯ এর ৪ (খ) ধারায় শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের চেষ্টা এবং ১০ ধারায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এবং ২০১২ সালের পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ৯ (খ) ধারায় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ওই চার্জশিট দাখিল করেছেন।



চলতি বছর ৪ মে দিবাগত রাতে আহসানউল্লাহ বিশ^বিদ্যালয়ের তড়িত প্রকৌশল বিভাগের সহকারী ওই অধ্যাপককে তাঁর নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ৫ মে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে ৭ মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।



এর আগে গত ৫ মে আদালতে যৌন নির্যাতনের শিকার ভিকটিম ৫ জন শিক্ষার্থী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।



উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আকস্মিক আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়। তৎক্ষণাৎ বৈঠকে বসে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখান্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কর্তৃপক্ষের ঘোষণাকে প্রত্যাখান করে চার দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। বেশ কয়েক বছর ধরে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করে আসছিলেন নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকের দাপটে সব মিলিয়ে যাচ্ছিল। নিপীড়নের শিকার ছাত্রীদের বেদনা অব্যক্তই থেকে যায়। তবে শেষ রক্ষা হল না দাপুটে শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসের। এই অভিযোগে গত ৪ মে রাতে আসাফুদৌল্লাহ আল সায়েম নামে এক শিক্ষার্থী নারী ও শিশু নির্যাতন মদন আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।  



(ঢাকাটাইমস/ ০৬ সেপ্টেম্বর/ আরজেড/ এআর/ ঘ.)