logo ১৮ এপ্রিল ২০২৫
‘স্ত্রী হত্যার তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করেননি বাবুল’
ইব্রাহিম খলিল, ঢাকাটাইমস
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০৮:৪১:১৭
image



স্ত্রী হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার পুলিশ কর্মকর্তাদের তেমন সহযোগিতা করেননি বলে জানিয়েছে বাহিনীটি।






চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মিতু হত্যা মামলার বাদী হিসেবে বাবুল আক্তার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, কোনো তথ্যও দেননি তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের| বরং আমরাই তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছি অপরাধীদের শনাক্ত করতে।’






গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় পুলিশ সুপার মাহমুদা খানম মিতুকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, এই সময়ের মধ্যে এ মামলার বিষয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো তথ্য দেননি বাবুল আক্তার।






এই হত্যার পর দেশজুড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালায় পুলিশ। বাহিনীটির তাৎক্ষণিক ধারণা ছিল, উগ্রবাদীরাই বাবুলের স্ত্রীকে হত্যা করেছে। এই পুলিশ কর্মকর্তা জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সক্রিয় ছিলেন বলে ক্ষুব্ধ হয়েই জঙ্গিরা এই হত্যা করেছে বলেও তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছিলেন।






কিন্তু পরে পুলিশের তদন্তে প্রাথমিকভাবে এই হত্যায় বাবুলের সোর্স হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজনের সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে এসেছে। আর ঢাকায় বদলি হওয়া বাবুল আক্তারকে জেরা করে পুলিশ। তখন বাবুল পদত্যাগ করার কথা জানিয়ে আবেদনপত্র লিখেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার পর গত মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।  এরপর থেকে শ্বশুরের বাসায় ফেরেননি বাবুল।






মিতু হত্যার পর থেকেই পুলিশে চাপা উত্তেজনা ছিল। তবে ক্রমেই তা কমে এলেও বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া নিয়ে মঙ্গলবার থেকে আবার নতুন করে শুরু হয় গুঞ্জন।






বাবুল চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন তার নিজের লেখা পদত্যাগপত্রের কারণেই। তবে তিনি নিজে ইচ্ছা করে এই পত্র লিখেননি, সেটা আরও এক চিঠিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিলেন। বাবুল কেন পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য হলেন সে নিয়েও কথা হচ্ছে।






এ ব্যাপারে ঢাকাটাইমসের সঙ্গে কথা হয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন পদে কর্মরতদের সঙ্গে। এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ কৌশলী প্রতিক্রিয়া দিলেও বেশিরভাগই কোনো মন্তব্যই করতে নারাজ।






মঙ্গলবার চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে কোনোরকম মন্তব্য করেননি বাবুল আক্তার। এমনকি মিতু হত্যা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কেও কোনো কথা বলেননি তিনি।






(ঢাকাটাইমস/৮সেপ্টেম্বর/আইকে/জেবি/ডব্লিউবি)