logo ২৩ জুলাই ২০২৫
এক অসহায় বানরের গল্প
রেজাউল করিম, ঢাকাটাইমস
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৮:১০:২১
image




প্রায় তিন বছর আগের কথা। জেলার মধুপুর থেকে কলাবোঝাই একটি ট্রাকে চড়ে বসে মধুপুর বনাঞ্চলের চার-পাঁচটি বানর। প্রথমে আনন্দ ভ্রমণের ট্রাক মনে করলেও পরে কলা নামানোর জন্য দেলদুয়ার উপজেলার পরিষদের সামনে এসে থামে ট্রাকটি। এসময় টনক নড়ে বানরগুলোর। বনাঞ্চলে বানরের স্বাধীনতা অনেকটাই পরাধীনতায় পরিণত হয় জনসম্মুক্ষে। অতি উৎসাহী জনতা ভিড় করে বানরের বাদরামি দেখতে। তারপরও বানর বলে কথা। এতো মানুষের ভিড়েও ট্রাক থেকে নেমে কৌশলে নিজেকে বাঁচিয়ে নেয় বানরগুলো। এ গাছ থেকে ও গাছ আর এ বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে ও বিল্ডিংয়ের ছাদে প্রায়ই দেখা যেত বানরগুলো। ওরা বুঝতে পারলো মধুপুর আর ফেরা হচ্ছে না। তাই নিজেকে খাপখাইয়ে মানুষের সামনে আসতে শুরু করল। উপজেলা পরিষদের আশপাশেই ঘুরে বেড়াতো বানরগুলো।







প্রাণিপ্রেমী অনেকে রুটি কলা ছুড়ে মারছে বানরগুলোর দিকে। বনাঞ্চলমুক্ত দেলদুয়ারে ছুড়ে মারা খাবারটুকু তাদের একমাত্র আহার। ঈদের পর বৃহস্পতিবার চোখে পড়ল একটি বানর। সঙ্গে নেই তার সঙ্গে আসা বন্ধুরা।






উপজেলা সদরের বাসমতি বাদল বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই একটি বানরই চোখে পড়ছে। তার সাথীদের দেখা মিলছে না।






মাসুদ রানা বললেন, অন্যান্য বানর কোনো ট্রাকে চড়ে হয়তো মধুপুরে ফিরে গেছে। হয়তো এই বানরটি ট্রাকে উঠতে না পাড়ায় এখনো রয়ে গেছে দেলুয়ারে।






বানরটি দেখতে অনেকটাই অসহায়। গত তিন বছর ধরে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন দিন রোগাক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। সাথীহারা বানরটির জীবনে নেমে এসেছে  ভারাক্রান্ত। এখন আর নেই সেই চঞ্চল্য। নেই গাছে গাছে তার লাফালাফি। মনমরা হয়েই বেশিরভাগ সময় একই স্থানে বসে থাকছে। পথিকদের হাত থেকে পাওয়া সামান্য কলা-রুটি খেয়েই দিন পার করছে পথহারা এ বানরটি।






(ঢাকাটাইমস/১৫ সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)