রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কৃষি অনুষদ ভবনে নবনির্মিত শ্রেণীকক্ষ এবং শিক্ষকদের চেম্বার অযৌক্তিক ও একতরফাভাবে বণ্টনের বিরুদ্ধে এবং ওই কক্ষ পুনঃবণ্টনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ফিশারিজ বিভাগ ও অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগ।



বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিভাগ দুটি এ কর্মসূচি পালন করে। তবে তাদের এ কর্মসূচি ক্লাস-পরীক্ষার আওতামুক্ত।



এর আগে গত ২৮ আগস্ট ভবনের ছয়টি শ্রেণীকক্ষসহ মোট ১১টি কক্ষে তালা লাগিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন চার বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।



সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফিশারিজ বিভাগের উপ রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে ব্যানার ও চেয়ার নিয়ে বসে আছেন বিভাগের ১২-১৫ শিক্ষক। তার বিপরীত দিকে চেয়ার নিয়ে বসে আছেন অ্যাগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষকেরা। দুই বিভাগের শিক্ষকদের অবস্থানের কারণে যাতায়াত করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।



বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনে বেশকিছু নতুন কক্ষ নির্মাণ করা হয়। এসব কক্ষ কৃষি অনুষদের চার বিভাগের মধ্যে বণ্টন করে দেন অনুষদের ডিন এবং ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সাহানা কায়েস। বরাদ্দ পাওয়া বিভাগ চারটি হলো- ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, অ্যাগ্রোনমি এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন, ফিশারিজ এবং এনিমেল হাজবেন্ড্রি এন্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগ। এই বরাদ্দ নিয়ে শুরু থেকে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানিয়ে আসছিল এই দুই বিভাগ।



নবনির্মিত ভবনের ২৫টি শ্রেণীকক্ষের মধ্যে ফিসারিজ বিভাগকে দুইটি, অ্যাগ্রোনমি দুইটি, ক্রপ সায়েন্স ১০টি ও ভেটেরিনারি বিভাগকে ১১টি কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয়। আর নবনির্মিত ১৪টি শিক্ষক চেম্বারের ফিসারিজ বিভাগকে দুইটি, অ্যাগ্রোনমি দুইটি, ক্রপ সাইন্স ৫টি ও ভেটেরিনারি বিভাগকে ৫টি করে বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে অ্যাগ্রোনমি ও ফিশারিজ বিভাগের অভিযোগ অধ্যাপক সাহানা কায়েস ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক হওয়ায় তিনি শ্রেণীকক্ষ বণ্টনে বৈষম্য করেছেন বলে অভিযোগ।



ফিশারিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আফজাল হুসাইন বলেন, শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষকদের চেম্বারের একতরফাভাবে বণ্টন করা হয়েছে। আমরা সুষম বণ্টনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের সাথে অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগ একাত্মতা ঘোষণা করেছে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।



(ঢাকাটাইমস/২২ সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)