logo ১১ মে ২০২৫
কোটি টাকা ঘুষ কেলেঙ্কারি
পুলিশ কর্মকর্তা নজরুলের বিরুদ্ধে তদন্তে অগ্রগতি নেই
মোছাদ্দেক বশির ও আশিক আহমেদ, ঢাকা টাইমস
০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ১৫:৪৯:৫৭
image


ঢাকা: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মোল্ল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোটি টাকা ঘুষ কেলেঙ্কারির অনুসন্ধানে কোন অগ্রগতি নেই। গত এপ্রিলে এক ব্যবসায়ীকে ধরে এনে ব্যাপক নির্যাতন করে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা আদায় করার অভিযোগে মোল্লা নজরুলের বিরুদ্ধে পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ঘটনার চার মাস অতিক্রম করলেও কোন তদন্ত কমিটিই প্রতিবেদন দিতে পারেনি।





তদন্তের বিষয়ে জানতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে  জানান, মোল্ল্যা নজরুলের ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনার তদন্তের বিষয়ে তার কাছে কোন তথ্য নেই।





দুদকের পরিচালক উইং কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় মোল্লা নজরুলকে দু’বার দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। তিনি তথ্য দিয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করেছেন। কিছু তথ্য প্রমাণের জন্য তাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া যার কাছ থেকে ঘুষ নেয়া হয়েছিল তাকে ও অভিযোগকারী এমপিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর আমরা অনুসন্ধান প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেব। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে কিনা কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।  





দুদকের কাছে থাকা অভিযোগে দেখা যায়, মহানগর ডিবির ডিসি মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম গত ৬ এপ্রিল সৈয়দ আবিদুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীকে ধরে এনে নির্যাতন করেন। পরদিন ৭ এপ্রিল তিনি এক কোটি টাকা দিয়ে মুক্তি পান। ডিবির এসআই আবুল হাসনাত দু’টি বেসরকারি ব্যাংকের শান্তিনগর শাখা থেকে ঘুষের টাকা তোলেন। আবিদুল ইসলাম সংসদ সদস্য কবিরুলের আত্মীয়।



ঘুষ দেয়ার বিষয়টি জানার পর তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরে নিজের প্যাডে লিখিত অভিযোগ করেন। প্রমাণ হিসেবে টাকা নেয়ার দৃশ্য সংবলিত সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজও দিয়েছেন। ডিসি নজরুলকে এ ঘটনায় তার পদ থেকে সরিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে ডিএমপি সদর দপ্তরে ন্যস্ত করা হয়। পাশাপাশি ডিবির পরিদর্শক আজহার উদ্দিন ও এসআই হাসনাতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।





দুদকের উপপরিচালক নাসিম আনোয়ারকে মূল অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা করে গত জুনের প্রথম সপ্তাহে একটি কমিটি গঠন করা হয়। অনুসন্ধানের তদারকি কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক ও উইং কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম।

এ ঘটনার অধিকতর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠন করা হয় একটি কমিটি।