logo ০৬ মে ২০২৫
উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন সেল গঠনের তাগিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
০২ অক্টোবর, ২০১৩ ১৪:২৬:১১
image


ঢাকা: দেশের শিল্প ও সেবাখাতে পরিকল্পিতভাবে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন সেল  গঠনের তাগিদ দিয়েছেন উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞ ও শিল্পোদ্যোক্তারা। তারা বলেন, এ সেল থেকে প্রতি মাসে বিভিন্ন খাতে অর্জিত উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করে এর উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। তারা বছরের যে কোনো এক মাসব্যাপী সারা দেশের শিল্প কারখানায়  শ্রমিক, মালিক ও কর্মচারির সক্রিয় অংশগ্রহণে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বিস্তারিত কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দেন।

 

 

আজ রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিই আগামী দিনের সমৃদ্ধি  শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ তাগিদ দেন। জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ন্যাশানাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এ সেমিনার আয়োজন করে। শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।

 

শিল্পসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই‘র প্রেসিডেন্ট কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের ইন্সটিটিউট অব অ্যাপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজি এর অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর পরিচালক ড. মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক আবদুল বাকী চৌধুরী, বিকেএমইএ’র উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞ রূপালী বিশ্বাসসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক ও শিল্প উদ্যোক্তারা আলোচনায় অংশ নেন।

 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শিল্প কারখানায় কাক্সিক্ষত হারে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য এর পরিচালনার সঙ্গে  জড়িত ব্যবস্থাপক, মালিক, শ্রমিক, কর্মচারীসহ সকলের দক্ষতা বাড়াতে হবে। এর পাশাপাশি উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল, জ্বালানি ও মেশিনারির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তারা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য উৎপাদন খরচ কমানোর তাগিদ দেন। শিল্পখাতের পাশাপাশি সেবাখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব বলে তারা মন্তব্য করেন।

 

শিল্পমন্ত্রী বলেন, জনগণের জীবন-মান উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। শিল্প কারখানার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কারখানা পর্যায়ে উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এর পাশাপাশি খাতভিত্তিক গবেষণা পরিচালনা করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে বাস্তবধর্মী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি এনপিও’র কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

 

দিলীপ বড়ুয়া বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি উৎপাদনশীলতা বিষয়ক জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে শ্রমিক, কর্মচারি, কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, মালিক, পেশাজীবী, নীতি প্রণেতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষিত করে রোলমডেলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানান।

 

(ঢাকাটাইমস/২ অক্টোবর/এজেড/১৩.৫৫ঘ.)