logo ০৬ মে ২০২৫
মৎস শিল্পের উন্নয়নে আইন অনুসরণের আহবান
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ২০:৩৫:৫৭
image


ঢাকা: মৎস শিল্পের টেকসই  উন্নয়নের জন্য মৎস  হ্যাচারি আইন  ও  মৎস্য খাদ্য আইন ২০১০ অনুসরণ করার আহবান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।  তারা বলেন,  এর মাধ্যমে  প্রাণিজ পুষ্টি চাহিদা পূরণে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

 

 

আজ  রাজধানীতে  মৎস বিষয় এ দুটো আইন নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্শমালায় বক্তারা একথা বলেন। উন্নত জাত ও মানের পোনা পুষ্টি চাহিদা পূরণে  সহায়তা করতে পারে। সে জন্য মাছের পোনা প্রজনন, বিপণন ও চাষে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। প্রোটিনের চাহিদা পূরণে মাছ বড় ধরণের ভূমিকা রাখতে পারে বলেও  মনে করেন তারা।

 

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস এমপি হ্যাচারি ও মৎস্য খাদ্য উৎপাদনকারীদের প্রতি  মাছের পোনা ও খাদ্যের মান সংরক্ষণে এ আইন দু’টি মেনে চলার আহবান জানান।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মৎস্য উৎপাদনকারী দেশ। এ দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের পরিমাণ ৩৩ মিলিয়ন টন। মোট মৎস্য উৎপাদনের ৫০ শতাংশ আসে অ্যাকুয়াকালচার থেকে। আমাদের প্রতিদিনের প্রাণিজ প্রোটিন চাহিদার ৬০ শতাংশই আসে মৎস্য থেকে।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিনা আফরোজা কর্মশালায় জানান, প্রতিবছর প্রায় ১ হাজার কার্ফ (স্বাদু জলের মাছ/ পোনামাছ) হ্যাচারি সাড়ে ছয় লাখ কেজি ডিম (স্পনস), ৫৯ টি বাগদা হ্যাচারি ৮২০ কোটি বাগদা পিএলস (পোস্ট লার্ভি) এবং ৭০টি গলদা হ্যাচারি ১২৫ কোটি গলদা পিএলস উৎপাদন করে। কিন্তু বর্তমানে এই শিল্পের মূল সমস্যা হচ্ছে মানসম্মত মাছের পোনার অভাব।

তিনি বলেন, মানহীন মৎস্য খাদ্য দেশের এই সম্ভাবনাময় অ্যাকুয়াকালচার শিল্পের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।

 

বাংলাদেশে বিশ্বখাদ্য সংস্থার (ফাও) প্রতিনিধি মাইক রবসন তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা মৎস্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ শ্রিম্প অ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্যভাবে মৎস্য খাদ্য ও পোনার মান সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে।

 

মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ শ্রিম্প অ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশন ও পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিড ইন্ডাস্ট্রি কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং  ওয়ার্ল্ড ফিশের বাস্তবায়নাধীন ইউএসএইড ফিড দ্যা ফিউচার অ্যাকুয়া কালচার প্রকল্প এই কর্মশালার আয়োজন করেন।

 

কর্মশালায় মৎস্য অধিদপ্তরের ড. সেইনার আলম ফিশ হ্যাচারি অ্যাক্ট ২০১০ এবং ফিশ ফিড অ্যাক্ট ২০১০ এর ওপর দু’টি প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন।

 

বাংলাদেশ শ্রিম্প অ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল সৈয়দ আরিফ আজাদ, পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিড ইন্ডাস্ট্রি কো-অর্ডিনেশন কমিটির আহবায়ক মশিউর রহমান, ড. মাহমুদুল করিম, ওয়ার্ল্ড ফিশের চিফ অপ পার্টি হেনড্রিক জেন কিউস সহ সারাদেশের উন্নয়ন অংশীদার, হ্যাচারি পরিচালক ও মৎস্য খাদ্য মালিকগণ।

 

(ঢাকাটাইমস/৩০ সেপ্টেম্বর/এজেড/২০.৩০ঘ.)