মাদক নিয়ে এসব কী হচ্ছে
জাহিদা খান চৌধুরী
০৫ নভেম্বর, ২০১৩ ১৬:৪৬:৪৩

রাজনীতির প্রতিহিংসায় জ্বলছে দেশ, জাতি। গণতন্ত্র ভুলে গেছে তার অস্তিত্ব কী! জ্বলছে আগুন পরছে লাশ জনগনের নাভিশ্বাস। ভাল তো, ভাল না? কেননা আগামী প্রজন্ম বেশির ভাগ মরণ নেশায় নেশাগ্রস্ত। অদূর ভবিষ্যতে ভাল কোন রাজনীতিবিদ কি আর এই দেশে গড়ে উঠবে? প্রশ্ন থেকেই যায়। এর আগেও মরণ নেশা ড্রাগ নিয়ে বহুবার লিখেছি। অনেকেই লিখেছেন। কিন্তু এর কি কোন সমাধান হয়েছে? না। হবে কেমন করে আমরা কোন কিছু নিয়েই একনিষ্ঠ না, যখনি কোন বিষয় খবর হয়ে আসে তারপর সেটা আমাদের লেখার আলোচনার বিষয় হয়। আমরা পারি না সেটার মূল উৎপাটন করতে। এর পিছেও কারণ ওই একটাই রাজনীতি। রাজনীতিবিদরা তাদের গদির তদারকি করবেন নাকি নতুন প্রজন্মের? আর ড্রাগ বন্ধ হলে চলবে কি করে তারা?
ড্রাগ সমস্যা এমন ভাবে সমাজে স্থান নিয়েছে যে প্রতি এক ঘর বাদে অন্য ঘরে একজন করে আসক্ত পাওয়া যাবে। কিন্তু এর প্রতিবাদ ও প্রতিকার নেই। এর জন্য দায়ী অনেক কিছু সে কথায় না গিয়ে আজ প্রতিকারের নামে যে সকল সংস্থাগুলো ড্রাগ আসক্তদের আসক্তি সারাবার নামে আরও এক নতুন পন্থায় ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন। বাংলাদেশের কোন রিহাব থেকে বের হয়ে কেন কোন আসক্তরা ঠিক হয় না? বরং তাদের কাছে ড্রাগ সরবরাহকারীর তালিকা আরও বেড়ে যায়। দুঃখ করে কোন এক থানার ওসি বলেছিলেন, ‘এই ব্যাধি যে আকারে বেড়ে চলেছে তাতে করে শঙ্কা হয়, যদিও আমরা ওদের এরেস্ট করি কিন্তু ওদের উপযুক্ত সাজা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারি না। খোদ মেজিস্ট্রেটরা বলেন, ‘ওদের এরেস্ট অর্ডার দিয়ে কী হবে?’ উপরের শক্তিতে জামিন পেয়ে যাবে, আর জেলখানায় ওদের রাখার মতো জায়গা নেই।
ড্রাগ আসক্তির-আসক্তি মুক্ত করার নামে এখন যে এক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা ফেঁদে বসেছে তার নাম ‘প্রত্যয়’ সেখানের এক ইন্ডিয়ান ডাক্তারের তত্ত্বাবধায়নে সেটা চলে। যেখানে কিছু কিছু সহযোগী পুরাতন ড্রাগই। যার আশেপাশে ড্রাগ সরবরাহকারীর অভাব নেই, সেখানে বড় লোক, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা আছেন। সেখানে ছেলে-মেয়েরা তলা বিভক্তিতে নামকা ওয়াস্তে থাকে কিন্তু সেখানে অবাধ মেলামেশার খবরটা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তারা হাতে করে সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে পারে। কে বলেছে গণতন্ত্র নেই? গণতন্ত্র অস্তিত্ব নিয়ে দোদুল্যমান? এই প্রত্যয়ে পুরো দস্তুর গণতন্ত্রর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। দর্শনকারীর ভাষায় যদি বলা যায় সেটা ছিল যে ‘ওইটা একটা ব্রথেল’।