ঢাকা: চুল পড়ার অনেকগুলো কারণের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু বদভ্যাস। চুল পড়া দূর করতে আপনাকে এই বদভ্যাসগুলো দূর করতে হবে। তবে বদভ্যাসগুলো না জানলে দূর করবেন কিভাকে তাইতো? এ জন্যই যে বদভ্যাসগুলোর কারণে চুল পড়ে তা দেয়া হল আজকের এই প্রতিবেদনে-
গরম পানিতে গোসল: শীত প্রায় চলেই এল। আর এই শীতে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে অনেক সহনীয়র চেয়ে বেশি গরম পানি দিয়ে চুল শ্যাম্পু করে। আর এই গরম পানি চুল ওঠার অন্যতম কারণ। তাই অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে চুল ধুবেন না।
চুলে যন্ত্রাংশের ব্যবহার: অনেকে ভেজা চুল শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার কিংবা যন্ত্রাংশের সাহায্য নেন। মার্কিন চিকিৎসক ডা: ব্যোমান বলেন, কখনোই অতিরিক্ত গরম বাতাসে চুল শুকানো উচিত নয়। এতে করে চুলের খুব ক্ষতি হয় এবং চুল পড়ে। তাই চুল শুকাতে সহনীয় তাপমাত্রার সাহায্য নিন।
ডায়েটিং: ডায়েটিং শরীরের জন্য ভালো তবে অতিরিক্ত ডায়েটিং নয়। অতিরিক্ত ডায়েটিং চুলের ক্ষতি করে। অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে সেটা হৃদয় ও মস্তিষ্কে আঘাত হানে। ক্যালিফোর্নিয়ার ডার্মাটোলজিস্ট প্যারাডি মিরমিরানি বলেন, অতিরিক্ত ডায়েটিংয়ের কারণে মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ফলে চুল দ্রুত উঠে যায়। আর এ থেকে পরিত্রাণ পেতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
শক্ত করে চুল বাঁধা: অনেকে চুল নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য শক্তভাবে বেঁধে রাখে। বিশেষ করে পনিটল কিংবা বেনি করলে এটা হয়ে থাকে। পনিটলে মাথার স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। তাই বেশিক্ষন শক্তভাবে চুল বেঁধে না রেখে মাঝেমধ্যে ছেড়ে দিন।
পুরনো প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবহার: অনেকে মেয়াদ চলে যাবার পরেও শ্যাম্পু কিংবা কন্ডিশনার চুলে লাগান। আর এটা চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ক্রয় ও ব্যবহারে সতর্ক হোন।
জন্মবিরতিকরণ পিল: অনেক মহিলাই আছেন যারা জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহার করেন। জন্মবিরতিকরণ পিল হরমোন পরিবর্তনে প্রভাব ফেলে। তাই চুল পড়া রোধে জন্মবিরতিকরণ পিল না খেয়ে কনডম ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূর্যের প্রখর রোদ: অনেক সময় সূর্যের অতিরিক্ত তাপও চুলের জন্য ক্ষতিকর হয়। তাই অতিরিক্ত রোদ হলে ছাতা ব্যবহার করা যায়। এতে কিছুটা হলেও চুল পড়া রোধ হবে।
বারবার চুল ধোয়া: অনেকে অতিরিক্ত শুচিবাই থেকে বারবার চুল ধুয়ে নেন। এতে করে মাথার তালু অতিরিক্ত পানিতে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল পড়ে। তাই বার বার পানি দিয়ে চুল ধোয়া উচিত নয়।
ঔষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: শারিরীক সমস্যায় অনেকে বিভিন্ন ধরনের ঔষুধ খেয়ে থাকেন। এসব ঔষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় অনেকে সময় চুল পড়ে। তাই সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষুধ খাওয়া উচিত।
(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/ফিচার/এসএ/ঘ)