logo ০৩ জুলাই ২০২৫
বাবার মোবাইল মেয়ের কাছে, অতঃপর...
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
০৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ ১৩:৫৫:০৫
image

ঢাকা: বর্তমান প্রযুক্তির যুগে প্রতিটি মানুষের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে মোবাইল ফোন। কারো সেলফোন নষ্ট হলে মনে হয় তিনি যেন বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। যার সেলফোন নষ্ট হয়ে যায় তিনি বাবা-মা, বন্ধু, আত্ময়ী-স্বজন এমনকি প্রেমিকার কাছ থেকেও চলে যান দূরে। যার ফোন হারিয়ে যায় কিংবা নষ্ট হয়ে যায় তিনিই শুধু এই সেলফোনের মর্মটা বুঝেন, অন্য কেউ নয়।


একই সাথে সেই ব্যক্তি যদি হয় কোন রাজনৈতিক কিংবা চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তাহলে তো আর কথাই নেই। তার সেলফোন নাম্বারের জন্য সাংবাদিকরা ওঠে পড়ে লেগে যাবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। আর তার সেলফোনটি যদি বন্ধ না থেকে অন্য কেউ যদি ব্যবহার করে এবং সে যদি বলে এটা যাক খোঁজা হচ্ছে সেই কাঙ্খিত ব্যক্তির নাম্বার নয়, তিনি ভুল করে অন্য একজনের ফোন নাম্বার দিয়েছেন। তাহলে কী যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন যোগাযোগ কাম্যরা। সঙ্গে বিড়ম্বনা যোগ হয় অতিরিক্ত মাত্রায়।


এমনই এক বিড়ম্বনায় পড়তে হলো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রিয়াজ রহমানকে সেলফোনে খুঁজতে গিয়ে। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। বিশেষ প্রয়োজনে তার নাম্বারে ফোন দিয়ে পাওয়া গেল আমিনা রহমান নামে একজনকে। গত ১০ বছর ধরে বিএনপির সেলফোনের তালিকায় তিনি তার সেলফোনের নাম্বারের জায়গায় অন্য একটি নাম্বার দিয়ে রেখেছেন এমনটি জানালেন আমিনা রহমান। কথাটিতে একটু বিস্মিত হলেও এটাই বাস্তব সত্য।


তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমিনা রহমান ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর কাছে অভিযোগ করেন, ‘আমি প্রতিদিন সাংবাদিকদের কাছে এই কথার জবাব দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে যাই। প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন্য সাংবাদিক আমাকে ফোন করেন এবং আমি শুধু বলি, সরি এটা রিয়াজ রহমানের ফোন নাম্বার নয়, আপনি ভুল নাম্বারের ফোন দিয়েছেন।কিন্তু তাতে তেমনটা লাভ হচ্ছে না’।


আপনার সেলফোন নাম্বারটি বিএনপির অফিসিয়াল ফোনের তালিকায় , তার সাথে কি আপনার কোন সম্পর্ক রয়েছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে আমিনা বলেন, হ্যাঁ... তিনিতো আমার বাবা।


আপনি সাংবাদিকদের বলেন রিয়াজ রহমানকে চেনেন না এটা কেন বলেন-এমন প্রশ্নের তিনি বলেন, ‘এমনি বলেছি। তবে বাবাকে কেউ যাতে বিরক্ত না করে তার জন্যও বলেছি’।


আপনার বাবা আপনাকে এসব বলতে মানা করেছেন- এ প্রশ্নের জবাবে আমিনার হাস্যজ্জোল উত্তর, ‘আমার বাবা আমাকে মানা করেনি। তবে জরুরি কোন বিষয় হলে সেটা বাবাকে বলি’।


তাহলে বিএনপির অফিসিয়াল তালিকায় আপনার নাম্বারটি কেন আছে- এমন প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দিলেন আমিনা রহমান। জানালেন, ‘এটা বাবার সেলফোন নাম্বার নয়, এটা আমার। আমি যখন বিদেশে থাকতাম তখন এটা বাবা ব্যবহার করত। তখনি তিনি এই নাম্বারটি দিয়েছেন। বিদেশ থেকে আমি আসার পর বাবা আমাকে নাম্বারটি দিয়ে দেন। আর তখন থেকেই সাংবাদিকদের ফোন আসা শুরু হয় আমার কাছে। এবং তখন থেকেই আমি এই কথাগুলোই বলে এসেছি’।


বিষয়টি বিএনপির অফিসে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে একটু হতাশার নিশ্বাস নিয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ একাধিকবার আমি বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের জানিয়েছি। তবে তারা এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এতে বলতে গেলে আমি হতাশ। তবে আমি আবারও কথাটি তাদেরকে বলবো। আশা করি এবার তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন’।


(ঢাকাটাইমস/৯ ডিসেম্বর/কেএস/এসকে/ঘ)