logo ০১ মে ২০২৫
বিচার না হলে আ.লীগের রাজনীতি কঠিন হবে ফেনীতে

হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, ফেনী থেকে
৩০ মে, ২০১৪ ২০:১৮:২৯
image


ফেনী:ফেনী শহরের একাডেমি সড়কে বিলাসী সিনেমা হলের সামনের রাস্তায় এখনো পোড়া কালো ছাই পড়ে আছে। ছাইগুলো সড়কে এমনভাবে মিশে গেছে যে, কয়েক দফা বৃষ্টিতেও পুরোপুরি ধুয়ে যায়নি। একইভাবে ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরামকে পুড়িয়ে মারার দৃশ্য এখনো দগদগে ফেনীবাসীর মনে।

‘রাতে ঘুমাতে পারি না। চিৎকার করে উঠি। চোখ বন্ধ করলেই একরামের বিদগ্ধ লাশ সামনে ভাসে। একজন মানুষকে এভাবে পুড়িয়ে মারার বিচার না হলে ফেনীর মানুষ আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।’ বলছিলেন একরামের ঘনিষ্ঠ এক আইনজীবী।

গত ২০ মে ঘটে নারকীয় ওই হত্যাকা-। দিনদুপুরে গাড়ির গতিরোধ করে প্রথমে গুলিবর্ষণ এবং পরে গাড়িসহ পুড়িয়ে মারা হয় ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামকে। ঘটনার পর বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন আহমদ চৌধুরী মিনারকে একমাত্র আসামি করে মামলা করা হয়। কিন্তু একদিন বাদেই বেরিয়ে আসে ওই হত্যার ভিডিও চিত্র। যা দেখে এবং স্থানীয়দের থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভর করে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৯ জনকে। এর মধ্যে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর মামাতো ভাই আবিদ রিমান্ড শেষে আদালতের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে তিনি একরামকে নিজ হাতে গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন। দিয়েছেন আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আবিদের মা লায়লা জেসমিন বড়মনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।  

তবে এখনো আত্মগোপনে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন আদেলকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। অথচ গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে এই আদেলই ছিলেন ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। গোয়েন্দা ও তদন্ত কর্মকর্তারা মনে করছেন আদেলকে গ্রেপ্তার করা গেলে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই তৎপরতায় স্বস্তিতে নেই নিহতদের পরিবার, ঘনিষ্ঠজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অন্যরা। এখনো শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের। একরামের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, যারা হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ একরামের সঙ্গে এদের সরাসরি কোনো বিরোধ থাকার কথা নয়। এখানে পর্দার আড়ালে থেকে যে বা যারা এই হত্যার ছক কষেছেন তাদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি। শঙ্কাটা সেখানেই। প্রকৃত খুনিদের বিচার হবে কি না তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা আছে।  

একরাম সমর্থক একটি পক্ষ অবশ্য খুনের পর থেকেই ঘটনার সঙ্গে সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী এবং ফেনীতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন। তাদের দাবি, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক আধিপত্যের দ্বন্দ্বের জেরে একরামকে খুন করা হতে পারে। আবার নিজাম হাজারী সমর্থকদের একটি অংশের অভিযোগ, ফেনীর একসময়ের দন্ডমুন্ডের কর্তা জয়নাল হাজারী নতুন করে রাজনৈতিক কোনো ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন। কারণ একরাম ও নিজামই একসময় জয়নাল হাজারীকে ফেনীর রাজনীতি থেকে দূরে সরে যেতে বাধ্য করেছিলেন।

পাল্টাপাল্টি এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুইজনকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তোলা হয়েছিল একরামের ঘনিষ্ঠদের পক্ষ থেকে। জেলা পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষও বলেছিলেন প্রয়োজনে দুই হাজারীকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো তৎপরতাই চোখে পড়েনি।

একরাম হত্যার পর থেকে ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায় নিজের বাড়িতে আছেন সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী। তবে তিনি খুব বেশি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হচ্ছেন না। গত মঙ্গলবার শহরের জেলরোডে লাভ মার্কেটে তাঁর কার্যালয়ে বসেছিলেন কিছু সময়ের জন্য। এখানে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

একরাম হত্যার সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে নিজাম হাজারী বলেন, ‘এ ঘটনায় যে-ই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য তার দলের পক্ষ থেকে পুলিশকে বলা হয়েছে। তদন্তে যদি তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায় আমাকেও গ্রেপ্তার করা হোক।’

ওদিকে ঢাকার ধানমন্ডিতে নিজের বাসায় বসে সাবেক সাংসদ জয়নাল হাজারী বলেন, ‘নিজামের কুকর্মের কথা একরাম জানত বলেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজাম হাজারী ফেনীতে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’ তিনি নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে দাবি করেন।

যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। আসামিদের কোর্টে তোলা হয়েছে। তদন্তের সার্থে এখন বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।



‘হত্যা চেষ্টার কথা জানতেন একরাম’

এর আগেও কয়েকবার একরামকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়েছিল। স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনের সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল। কিন্তু প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহত একরামের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘একরাম আগে থেকেই তাঁকে খুন করার পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেছিলেন। দলীয় লোকজনের মাধ্যমে তিনি এ খবর পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কখনোই এসব কথায় পাত্তা দিতেন না। বলতেন, ‘তোমাদের কাছেই মানুষ এসব কথা বলে। কিন্তু আমার কাছে সরাসরি কেউ তো এ কথা বলে না। আর যাদের আমি ফেনী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছি তারা আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবে এটা বিশ্বাস করি না। যা হওয়ার হবে এ নিয়ে আমি চিন্তিত নই।’

এই নেতা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা প্রায়ই তাঁকে (একরাম) বলতাম, তুমি একা না চলে লোকজন নিয়ে চলাফেরা কর। কিন্তু সে এসবে কান দিত না।’

জেলার সাবেক এক যুবলীগ নেতা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দলের একজন নেতার গায়ে কখনো হাত দেওয়া হলে ফেনীতে পোস্টার, ব্যানারে প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরা হয়। কিন্তু একরামের মতো একজন নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যার পর এক সপ্তাহ পার হলেও হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি ব্যানার, পোস্টারও লাগানো হয়নি। এ থেকেও মানুষ যা বুঝে নেওয়ার তাই নিচ্ছে।’





মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব চলছিল নিজাম-একরামের মধ্যে

ওপরে ওপরে নিজাম হাজারী ও একরামের মধ্যে বেশ মিল ছিল। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, এক বছর ধরে তাঁদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক বিরোধ চলছিল। ফেনীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উন্নয়ন কাজের দরপত্রের একটা বড় অংশ একরামের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ নিয়েই মূলত দ্বন্দ্বের শুরু হয় দুই জনের মধ্যে।

সর্বশেষ গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়ে। এই নির্বাচনে ফেনী-১ আসন থেকে একরাম এবং ফেনী-২ আসন থেকে নিজাম হাজারী মনোনয়ন চান। এর মধ্যে নিজাম হাজারী মনোনয়ন পেলেও একরাম পাননি। সেখানে মহাজোট শরিক জাসদের শিরীন আখতারকে টিকিট দেওয়া হয়। এই অবস্থায় একরাম ও তাঁর অনুসারীদের মধ্যে এমন ধারণা হয় যে, দলীয় রাজনৈতিক কৌশলের কাছে তিনি ধরাশায়ী হয়েছেন। এরপর একরাম ফুলগাজী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। অভিযোগ আছে, ফুলগাজী উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ চৌধুরীসহ দলের একাংশ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে। এর পেছনে নিজাম হাজারীর হাত ছিল বলে একরাম সন্দেহ করতেন।

রাজনীতিতে একরামের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র ঢাকাটাইমসকে জানায়, জাহিদ এক সময় একরামের ঘনিষ্ঠ ক্যাডার ছিল। সে আনন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু একরাম তা হতে দেননি। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। তাছাড়া যে এলাকায় একরাম খুন হয়েছেন সেখানে জাহিদের নিয়ন্ত্রিত একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আছে। এর বিপরীত এলাকায় একরামের একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসী গ্রুপও ছিল। সবদিক বিবেচনায় একরাম হত্যার পেছনে জাহিদের দ্বন্দ্বও একটি কারণ হতে পারে বলে সন্দেহ করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।



জবানবন্দিতে যা বলেছেন আবিদ

ভিডিও দেখে হত্যার সঙ্গে জড়িত যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম আবিদ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটদিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু রিমান্ডের একদিন পরই তাকে জবানবন্দির জন্য আদালতে তোলা হয়। সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আবিদ হত্যার সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।

আবিদ জবানবন্দিতে বলেন, ২০১১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় থেকে জাহিদ চৌধুরীর সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি  হয়। একরাম হত্যার আগের রাত (১৯ মে) সাড়ে আটটা থেকে নয়টায় শহরের মিজান রোডের সালাম কমিউনিটি সেন্টারে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে তিনি (আবিদ), জাহিদ চৌধুরী, রুটি সোহেল, বক্কর, শিফাত, শিপন, অনিক, শানান ছিলেন। শেষ মুহূর্তে কাউন্সিলর শিবলু উপস্থিত হন। বৈঠকে একরামকে অপমান-অপদস্থ করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর রাত সাড়ে ১১টায় শহরের মিজান ময়দানে তাকেসহ রুটি সোহেল ও বক্করকে ডেকে পাঠান জাহিদ চৌধুরী। তখন একরামকে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানান জাহিদ। রাতেই এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তাদের কাছে তিনটি পিস্তল পাঠান জাহিদ চৌধুরী।

জবানবন্দিতে আবিদ জানান, হামলায় ৬০ থেকে ৭০ জন অংশ নেয়। এদের বেশির ভাগই জানত একরামকে অপদস্থ করা হবে। ঘটনার দিন ২০ মে সকাল থেকে একরামের গতিবিধির দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছিল। হামলার সময় জাহিদ ছিলেন ঘটনাস্থলের অদূরে মিয়ার দোকানে। আবিদ নিজে আফজল রহমান সড়কের মাথায় ছিলেন। সেখানে শিপন ও শিফাতও ছিলেন। এ রকম চারটি-পাঁচটি স্থানে তারা ভাগ হয়ে অবস্থান নেন। একরামের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর একটি ইজিবাইক দিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। তা পাশ কাটাতে গিয়ে একরামের গাড়ি রোড ডিভাইডারের ওপর উঠে আটকে যায়। তখন এলোপাতাড়ি হামলা করে গাড়ি ভাংচুর করা হয়। আবিদসহ কয়েকজন গিয়ে গুলি করেন। পরে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

আবিদ জানান, ঘটনার পর পালানোর সময় তিনি জাহিদ চৌধুরী, কাউন্সিলর শিবলু ও হুমায়ুনকে দেখেছেন শিবলুর বাড়ির সামনে দাঁড়ানো। একরাম হত্যার পর আত্মরক্ষার জন্য আবিদ কী করেছেন আদালতের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি নিজাম হাজারীকে ফোন করেন। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। জাহাঙ্গীর আদেলকেও ফোন করেন। তিনিও ফোন ধরেননি।



এখন পর্যন্ত আরও যারা গ্রেপ্তার

একরাম হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আরও যারা গ্রেপ্তার  হয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন মামলার এজহারভুক্ত একমাত্র আসামি ফেনী জেলা জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের আহ্বায়ক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। মাহতাব চৌধুরী গত উপজেলা নির্বাচনে একরামের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। নির্বাচনে জিততে না পারায় প্রতিহিংসায় তিনি এই খুন করতে পারেন এমন অভিযোগ এনে একমাত্র আসামি করে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

এছাড়া কাজী শানান মাহমুদ, মো. জাহিদ হোসেন ভূঞা, শাহজালাল উদ্দিন শিপন, সাজ্জাদুল ইসলাম শিফাত, চৌধুরী মো. হাফিজ উদ্দিন অনিক, জাহিদুল হাশেম সৌরভ, হেলাল উদ্দিন, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী, ফেনী পৌর কাউন্সিলর ও ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহিল মাহমুদ শিবলু, ফুলগাজীর আনন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন পাটোয়ারী, আনোয়ার, আলাউদ্দিন, সাখাওয়াত, আলমগীর, বিরিঞ্চি এলাকার সজিব, বাপ্পি, সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুর রবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি মোটর সাইকেল, দুটি প্রাইভেটকার, ছোরা ও দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

(ঢাকাটাইমস/ ৩০ মে / এইচএফ/ এআর/ ঘ.)