বিচারপতিকে কটূক্তিকারী ব্যারিস্টার কারাগারে
আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১৩ অক্টোবর, ২০১৪ ১৯:২৯:১৬

ঢাকা: আপিল বিভাগের বিচারপতি এএইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগের একটি মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান সোমবার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
লন্ডন প্রবাসী সোমবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামলে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর তাকে সোমবার বিকালে আদালতে হাজির করা হয়।
তাকে কাঠগড়ায় ওঠানোর পর তিনি মামলাটি বেআইনি উল্লেখ করে জামিন চাইবেন না জানালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই মামলার বাদি পক্ষে আইনজীবী এ এইচ ইমরুল কাউছার বলেন, অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম ২০১২ সালের ১২ আগস্ট মামলাটি দায়ের করেন। প্রথমে আদালত এ আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করে।
সমন পেয়ে তিনি না আসায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। ওই পরোয়ানা মূলেই তিনি গ্রেপ্তার হন।
মামলাটিতে ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অপর ৫ আসামি হলেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ, শাওগাতুল আনোয়ার, যুক্তরাজ্য এটিএন বাংলা শাখার নির্বাহী পরিচালক সামসুল আলম লিটন, পরিচালক হাফিজ আলম বক্স ও সংবাদ পাঠক লুৎফর নাহার বেবি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ৭ জুন লন্ডনে এটিএন বাংলার একটি টিভিটকশোতে ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন সাহেব হাইকোর্টের সদস্য হওয়ার জন্য বার কাউন্সিলের পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। তখন বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক অন্য একটি বোর্ড থেকে এসে তার সমস্ত কাগজপত্র কেড়ে নেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
বিচারপতি মানিক যে মোবাইল ফোন ব্যাবহার করেন তার রেকড তদন্দ করে দেখা দরকার। তাকে শুধু এমপিচ করলে হবে না, তার প্রত্যেকটি এক্টিভিটিজ তদন্ত করতে হবে।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাকে বিচারপতি মানিক আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন, আমি যদি সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ না করি তবে আমার বিরুদ্ধে স্যুয়োমোটো রুল জারি করবেন। ওই কারণেই আমি পদত্যাগ করতে বাধ্য হই। ওই সকল উক্তি মানহানিকর।
(ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/আরজেড/এএসএ)