রাষ্ট্রদূত হতে চান হাসান মাহমুদ খন্দকার
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:১৯:৫৬

ঢাকা: রাষ্ট্রদূত হতে চান পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার। গত ৩১ ডিসেম্বর পুলিশের সর্বোচ্চ পদ থেকে অবসরে যান তিনি।
সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশের আইজি পদে দায়িত্বপালনকারী সাবেক এই কর্মকর্তা মনে করছেন, সরকারের বহু কঠিন সময়ে পরিস্থিতি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করেছি। এখন সরকার যদি মনে করে তাহলে আমাকে কাজে লাগাতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমি আমার পুরোটা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবো।
তিনি তাঁর এই প্রত্যাশার কথা তাঁরই ঘনিষ্টজনদের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, দেশের নানা কঠিন সময়ে সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি। দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রেও আন্তরিকতার কোনো ত্রুটি ছিল না। সুতরাং সরকারের কাছ থেকে এখন একটি পুরস্কার দাবি করাটা অযৌক্তি কিছু হবে বলে আমি মনে করি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসান মাহমুদের ঘনিষ্টজনরা বলেছেন, তিনি রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করতে চাচ্ছেন। যেকোনো দেশের রাষ্ট্রদূত হতে পারলে তাঁর আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয় বলেও তিনি তাঁর ঘনিষ্টদের জানিয়েছেন। এ লক্ষ্যে তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশের ৮২ ব্যাচের এই কর্মকর্তা দীর্ঘসময় আইজিপির দায়িত্ব পালন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। এছাড়া বর্তমান সরকারের আস্থাভাজন হিসেবেই পরিচিত তিনি। ২০১৪ সালে নির্বাচন নিয়ে দেশে যখন যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি, পুলিশ প্রধান হিসেবে সেটি সফলভাবেই মোকাবেলা করেছেন হাসান মাহমুদ।
এছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় নিয়ে সময়ে সময়ে, বিশেষ করে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় নিয়ে দেশজুড়ে যে উন্মাদনা বইছিল তা শক্তহাতে মোকাবেলা করা ছিল পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এছাড়া মতিঝিলে হেফাজতের অবস্থানকে ঘিরেও তৈরি হওয়া চ্যালেঞ্জও পুলিশ সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করেছেন। হাসান মাহমুদের নেতৃত্বেই পুলিশ তা বেশ ভালোভাবেই মোকাবেলা করেছে।
২০১০ সালের ৩১ আগস্ট আইজিপি হিসেবে যোগ দেন হাসান মাহমুদ খন্দকার। প্রায় সাড়ে চার বছর আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে হাসান মাহমুদ খন্দকারকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
(ঢাকাটাইমস/১৬ ফেব্রুয়ারি/এমএম/ এআর/ ঘ.)